এই মুহূর্তে জেলা

জগাছার যুবক খুনের ঘটনাতেও উঠে এলো ত্রিকোণ প্রেমের তত্ত্ব। গ্রেফতার শ্যালিকার ছেলে সহ ২।

হাওড়া, ৮ অক্টোবর:- বুধবার বিজয়া দশমীর দিন হাওড়ার ডোমজুড় থানা এলাকার সলপ পীরডাঙ্গায় বস্তার মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় হাত পা বাঁধা এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। পরে জানা যায় মৃতের নাম সুরেশ সাউ। তিনি হাওড়ার জগাছা এলাকার বাসিন্দা। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনায় সুরেশের স্ত্রীর বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের প্রসঙ্গ উঠে আসে। ধৃতদের মধ্যে একজন ওই যুবকের আত্মীয় এবং অন্যজন পরিচিত বলে জানা যায়। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ও টাকাপয়সা সম্পত্তি নিয়েই এই খুনের ঘটনা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। গত দশমীর দিন ডোমজুড়ের সলপ এলাকায় সুরেশ সাউ নামের ওই যুবকের বস্তাবন্দি খন্ডবিখন্ড দেহ উদ্ধার হয়। বস্তার মধ্যে ছিলো না মাথা।এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে জগাছার বাসিন্দা ওই যুবকের নাম সুরেশ সাউ।

দক্ষিণ পূর্ব রেলের কর্মী। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে দুটি দূরপাল্লার বাস রয়েছে সুরেশের। সুরেশের বাস দেখাশোনা করত মিঠু নামের এক যুবক। সূত্রের খবর, মিঠুর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল সুরেশের স্ত্রীর। সুরেশের স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলেও যায়। এছাড়া সুরেশের শ্যালিকার ছেলে শেখরের সঙ্গেও মিঠুর বন্ধুত্ব ছিল। পথের ‘কাঁটা’ সুরেশকে সরাতে মিঠু শেখরকে সঙ্গে নিয়েই খুনের ছক কষেছিল বলে জানা গেছে। শেখরের দুটি বাস ও সম্পত্তি হাতানো তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিলো। সেইমতো সুরেশকে নিজের গ্যারেজে ডেকে এনে খুন করে অভিযুক্তরা। এরপর বস্তাবন্দি করে মৃতদেহ বাইকে করে নিয়ে গিয়ে ফেলে আসা হয়। মাথা ফেলা হয় অন্য জায়গায়। তবে এই ঘটনায় পরিবারের অন্যরা জড়িত বলেও পুলিশের অনুমান।