এই মুহূর্তে কলকাতা

মশা নিধনে দুর্গা পুজোতেও কর্মীদের ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত রাজ্যের।

কলকাতা, ১৪ সেপ্টেম্বর:- রাজ্যে ডেঙ্গু সংক্রমনের ঊর্ধ্বগতির প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার আসন্ন উৎসবের দিন গুলিতেও নজরদারি ও মশার লার্ভা মারার কাজ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উৎসবের সময় ডেঙ্গি মোকাবিলায় নজরদারিতে যাতে কোনও খামতি না-থাকে, তা নিশ্চিত করতে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর দুর্গাপুজোর সময়ে কর্মীদের ছুটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এক নির্দেশিকায় রাজ্য পুর দফতরের প্রধান সচিব খলিল আহমেদ জানিয়েছেন, ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যের সব ক’টি পুরসভায় ডেঙ্গু মোকাবিলার কাজে যুক্ত কর্মীরা ছুটি নিতে পারবেন না। রাজ্যের সব ক’টি পুরসভাকে ওই নির্দেশিকা পুর দফতরের তরফে ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পুর দফতরের পক্ষ থেকে এ দিন জানানো হয়েছে যে, ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রতিটি পুরসভাকে তার লাগোয়া পুরসভা এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, বেসরকারি কেন্দ্র থেকে যাঁরা ডেঙ্গি পরীক্ষা করাচ্ছেন, তাঁদের কোনও তথ্য সরকারের হাতে আসছে না। এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে পুরসভাগুলিকে তাদের এলাকায় থাকা ল্যাব এবং বেসরকারি হাসপাতাল থেকে নিয়মিত তথ্য সংগ্রহ করার উপর জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

বহু পুর এলাকা থেকেই অভিযোগ আসছে যে, বাড়ি-বাড়ি জমা জলের খোঁজে অভিযান এবং মশার লার্ভা মারার কাজ ঠিক ভাবে হচ্ছে না। বাস্তবে কাজ কতটা হচ্ছে, তা দেখতে পুর দপ্তরের অফিসাররা বিভিন্ন পুর এলাকায় সারপ্রাইজ় ভিজিটে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুজোর মুখে মশাবাহিত রোগের বাড়বাড়ন্তে চিন্তার ভাঁজ পরেছে স্বাস্থ্যভবনের কপালেও। কলকাতায় ডেঙ্গি সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে। ইতিমধ্যেই ডেঙ্গু সংক্রমণ ৮০০ ছাড়িয়েছে। পরিস্থিতি কীভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, সে কারণেই সোমবার কলকাতা পুরনিগম রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে বৈঠকে বসে। ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম, কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ময়দানে নামছে পুরনিগম। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে ফিভার ক্যাম্পের পাশাপাশি পাড়ায়, পাড়ায় প্রচার করা হবে। পাশাপাশি বাজারগুলিতে প্রচার করা হবে। শিশুদের জন্য বেড সংরক্ষিত করা হয়েছে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল, বিসি রায় শিশু হাসপাতালে। অন্যদিকে ২৪ ঘণ্টা রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে এসএসকেএম, এমআর বাঙুর, বেলেঘাটা আইডি ও ট্রপিকালে।