কলকাতা, ১৩ সেপ্টেম্বর:- বিজেপির ফ্লপ অভিযান হল। এদের পরিকল্পনা পুলিশ সাফল্যের সাথে ব্যর্থ করে দিল। অস্থিরতা তৈরি করার চেষ্টা ব্যর্থ এ নাকি বিরোধী দলনেতা। বিরোধী দলনেতা হাঁটতে হাঁটতে পুলিশের গাড়িতে উঠল। যতগুলো ক্যামেরা তত সময় নার্ভ কাজ করল না। পুলিশ তুলে নিয়ে যাবে ভেবেছিলা এতো দেখলাম হেঁটে হেঁটে লজ্জাবতী লতা উঠে গেল। আলুভাতে বিরোধী দলনেতার ভরসায় বিজেপি নেতারা লড়ছেন৷ বিরোধী দলনেতা যুদ্ধ ঘোষণা করছে। আস্ত আলুভাতে। ছোট বেলায় বাবার দয়ায়। তারপর দিদির দয়ায় পদ পেয়েছে। আলুভাতে সখী একটা৷ মুখে মারিতং জগৎ। বিরোধী দলনেতা হতে গেলে মমতার থেকে শিখতে পারত। আলুভাতে সখী বলছে ডোন্ট টাচ মি। আমাদের এক নেতাকে টোল প্লাজায় কুৎসিত ভাবে মারা হয়েছে। লোক নেই, জন নেই নবান্ন অভিযান। বিরোধী দলনেতার আত্মসমর্পণ এটা নজির হয়ে থাকল। ভিড় তো পুলিশ আর সংবাদমাধ্যমের। সব মিলিয়ে দেখা গেল ৯১৮ জন৷ একটা ভীতু, কাপুরুষ, মেরুদন্ডহীন, ক্লীব নেতা। বিরোধী আন্দোলন কি ভাবে হবে সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখে শেখা উচিত ছিল দিলীপ দা বললেন যেখানে আটকাবে সেখানেই বসব।
শুভেন্দু অধিকারী কোথায় বসলেন। তিনিই চলে গেলেন। তিন মহিলা পুলিশ কর্মী শেষ করে দিল। বিরোধী দলনেতা লড়াইয়ের যোগ্যতা নেই। শুধু শুধু এতো লোক হয়রানি নেই৷ বিজেপি কর্মীরা জানুন, শুভেন্দুর বুকে নেই দম, ও খাবে চমচম। বাধাহীন ভাবে নিজেই উঠে চলে গেল। এদের ভরসায় রাজনীতি করবেন। বিজেপি কর্মীরা ভেবে দেখুন। আর যাত্রা পালার পটচুলা রাহুল হেঁটে উঠে গেল। বিপুল টাকা খরচ করেছিল বিজেপি এই নবান্ন অভিযানে৷ কোনও স্ট্যাট্রেজি তৈরি করতে পারেনি। দিলীপ দাকে জিজ্ঞাসা করছি, আপনি বলার পরেও শুভেন্দু বসল না। তার মানে দম নেই। ওর সাথে লোক নেই। লকেট চ্যাটার্জি মনে মনে চাইছিলেন এটা ফ্লপ করুক। তাই হয়েছে। এই যে বারবার বলে শুভেন্দু, “ওদের অর্ধেক লোক আমার সাথে যোগাযোগ রাখে৷” এবার বল কে যোগাযোগ রাখে? যোগাযোগ রাখলে পুলিশের স্ট্যাট্রেজি জানতে পারত। ট্রেলারেই দি এন্ড – বিজেপির নবান্ন অভিযানের। দিলীপ ঘোষের উচিত, শুভেন্দুকে শো-কজ করা। কেন বলার পরেও বসে পড়েনি, এর জবাব চাওয়া উচিত। সুকান্ত-শুভেন্দুর ডাকে ছিল নবান্ন চলো। আর দিলীপ-লকেটের ডাকে নবান্ন থেকে ফেরো। তাই লকেট-শুভেন্দু খুশি।