হাওড়া, ১২ সেপ্টেম্বর:- বেছে বেছে মঙ্গলাহাটের দিন হাওড়ায় নবান্ন অভিযান কেন এবার প্রশ্ন তুললো মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ী সমিতিও। পুজোর আগে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়বেন বস্ত্র ব্যবসায়ীরা। প্রায় ৬০ কোটি টাকার লোকসানের আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।মঙ্গলাহাটের দিন হাওড়ায় নবান্ন অভিযান কেন, এতে তো পুজোর আগে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়বেন বস্ত্র ব্যবসায়ীরা? প্রশ্ন তুলেছেন বস্ত্র ব্যবসায়ীদের সংগঠন। পুজোর বাকি আর হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি দিন। সবে জমে উঠতে শুরু করেছে মঙ্গলাহাটের বেচাকেনা। যার উপর সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন ব্যবসায়ীরা। এই অবস্থায় পুজোর আগে শেষ তিনটি হাটের প্রথম হাট পড়েছে ১৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার। আর সেদিনই নবান্ন অভিযানের দিন ধার্য্য হয়েছে। ফলে সারা বাংলা থেকে বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা হাওড়ায় এসে জমায়েত হবেন। বিজেপির মূল তিনটি মিছিলের একটি মিছিল রওনা হবে হাওড়া ময়দান থেকে। ওই মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার স্বয়ং। আর তা নিয়েই মঙ্গলাহাট ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এবিষয়ে হাওড়ার মঙ্গলাহাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মলয় দত্ত বলেন, “বাংলার প্রধান উৎসব হচ্ছে এই দুর্গোৎসব।
এই উৎসবকে সামনে রেখে বস্ত্র ব্যবসায়ীদের সকলের পরিকল্পনা থাকে যে পুজোর সময় কিছু অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে আগামী ১২ মাসের চিন্তাভাবনা করবে। কিন্তু, আগে পরে এতো সময় থাকতে বিজেপি পুজোর সময় ১৩ সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়ে দিলো। এতে আমাদের বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হবে। এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বৃহত্তম মঙ্গলাহাটে এখানে যে ১৮টা হাট বিল্ডিং আছে এবং পাশাপাশি ফুটপাতে যারা ব্যবসা করেন সকলেই এতে ক্ষতির মুখে পড়বেন। আনুমানিক ওই একদিনে প্রায় ৫০-৬০ কোটি টাকার ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। নবান্ন অভিযান ঘিরে এমনিতেই পুলিশ নিরাপত্তার কারণে বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ করে দেবে। তার উপর দূরদূরান্ত থেকে ওই কর্মসূচিতে মানুষ আসতে থাকবেন। এরফলে আমাদের ব্যবসায় যে কী পরিমাণ ক্ষতি হবে তা চিন্তার বিষয়। আমরা বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি। এই নবান্ন অভিযান বিজেপি আগেও করতে পারত বা পুজোর পরেও করতে পারত। আমাদের অনুরোধ, হাটের ব্যবসায়ীদের কোনও ক্ষতি করে যেন এরকম পরিকল্পনা আগামী দিনে আর না নেওয়া হয়।”