এই মুহূর্তে জেলা

পরকীয়ার জের, প্রতিবেশী গৃহবধূর গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ, পরে নিজেও আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা যুবকের।

হাওড়া, ২৭ জুলাই:- প্রতিবেশী গৃহবধূর গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ মেরে প্রাণে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। এরপর নিজের পেটেও ধারালো অস্ত্রের কোপ মেরে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন ওই যুবক। বুধবার সকালে হাওড়ার ডোমজুড়ের বলুহাটিতে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পরকীয়ার জেরে নাকি যুবকের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এই ঘটনা তদন্তে নেমেছে পুলিশ। জানা গেছে, ডোমজুড়ের বলুহাটি গয়েশপুর এলাকায় এদিন সকালে ওই গৃহবধূ বাসন মাজার সময় হঠাৎই তাঁর পিছন দিক থেকে চুপিসারে এসে ছুরি দিয়ে গলা কেটে খুনের চেষ্টা করেন প্রতিবেশী ওই যুবক। এরপরেই নিজের পেটেও ছুরি চালিয়ে দেয় ওই যুবক। বর্তমানে গুরুতর জখম ওই গৃহবধূ ডোমজুড় গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। অন্যদিকে, হাওড়া জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে অভিযুক্ত যুবকের। এরা দুজনেই বিবাহিত বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। ঘটনার সময় গৃহবধূর স্বামী কাজে বেরিয়েছিলেন।

আর অভিযুক্ত যুবকের স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন। জখম মহিলার ক্ষতস্থানে ৪টি সেলাই হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। জখম গৃহবধূর দাবি, এদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে তিনি বাড়ির বাইরে বাসন মাজছিলেন। তখন নির্মল নামের ওই প্রতিবশী যুবক তাঁদের বাড়িতে ছুরি নিয়ে ঢোকে। এরপর হঠাৎই পিছন থেকে তাঁর উপর চড়াও হয়ে গলা চেপে ধরে। তারপর সে ছুরি দিয়ে পিছনে আঘাত করে। একাধিকবার তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে নির্মল। তাঁর দাবি অভিযুক্ত তাঁর কেউ হয় না। অভিযুক্তের সঙ্গে আগে তাঁর কোনও সম্পর্ক ছিলনা। এখনও কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি তাঁর। বাড়িতে মহিলার একা থাকার সুযোগ নিয়েই এদিন চড়াও হয় অভিযুক্ত। তবে বেশ কয়েক বছর আগে তাঁর সঙ্গে অভিযুক্ত নির্মলের ঝগড়া হয়েছিল। তাঁর অনুমান হয়তো সেই কারনেই আক্রোশবসত তাঁর উপর চড়াও হন নির্মল। এই ঘটনায় আতঙ্কিত তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, এদিন সকালে ঘটনাটি ঘটেছে। এই দু’জনের মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত কোনও সম্পর্ক ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।