এই মুহূর্তে জেলা

বেআইনিভাবে অনুপ্রবেশ, ভুয়ো পরিচয়পত্র বানানোর অপরাধে তিন বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী গ্রেফতার হাওড়ায়।

হাওড়া, ৩০ জুন:- তিন বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল। এমনকি তারা ভুয়ো প্যানকার্ড, ভুয়ো আধার কার্ড তৈরি করেছিল। বেশি টাকার কাজের প্রলোভনে তারা ঢুকেছিল ভারতে। এমনকি এই নকল পরিচয়পত্র বানাতে তারা ভারতীয় দালালদের সাহায্য পেয়েছিল। এক্ষেত্রে এই জাল নথি দেওয়ার জন্য একটি ভারতীয় দালালচক্র কাজ করেছিল বলে অভিযোগ। এমনই দাবি পুলিশের। বৃহস্পতিবার বিকেলে হাওড়ায় ডিসিপি সাউথ অফিসে এক সাংবাদিক সম্মেলন এই তথ্য জানান হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসিপি সাউথ প্রতীক্ষা ঝাড়খাড়িয়া। তিনি জানান, বেআইনিভাবে অনুপ্রবেশ, ভুয়ো পরিচয়পত্র বানানোর অপরাধে এদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে একটি ভারতীয় দালালচক্র চক্র কাজ করছে। তার হদিশ পেতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে।  এই কেসের জন্য তদন্ত জারি রয়েছে। তিনি বলেন, এই ঘটনার মূল পান্ডা শেখ রিপন। সেও একজন বাংলাদেশী। 

গ্রেফতার হওয়া আরও দু’জন বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীর নাম মহম্মদ সুজন ও শেখ মুনির। এই দুজনকে শেখ রিপন লোভ দেখিয়েছিল ভারতে পঁচিশ থেকে তিরিশ হাজার টাকার চাকরি পাইয়ে দেবে। এরপর তারা ভারতীয় সীমান্ত পেরিয়ে ত্রিপুরা হয়ে ট্রেনে চেপে হাওড়ায়  এসেছিল। এরপর ডোমজুড়ের বাঁকড়া নয়াবাজ এলাকায় এসে ওঠে তারা। শেখ রিপনই তাদের নকল প্যান কার্ড ও নকল আধার কার্ড বের করতে সাহায্য করে।এমনকি সে ভুয়ো পাসপোর্ট করারও চেষ্টা করে বলে ডিসি সাউথ জানান। তিনি আরও জানান, গত ২৩ জুন রাতে হাওড়ার ডোমজুড় থানার বাঁকড়া পুলিশ ফাঁড়ির পিসি অফিসার জানতে পারেন নয়াবাজ এলাকায় দু’জন বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী আছে। এরপর ওই দু’জনকে গ্রেফতার করে বাঁকড়া পুলিশ ফাঁড়িতে আনা হয় বলে তিনি জানান। এই ঘটনায় তদন্ত চলছে। তবে এই ঘটনায় ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে দেওয়ার জন্য একটি চক্র কাজ করেছে। তার সম্পূর্ণ হদিস পেতে হাওড়া সিটি পুলিশের তদন্ত জারি রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।