এই মুহূর্তে কলকাতা

নুপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের নিন্দা করে প্রস্তাব গৃহীত বিধানসভায়, বিদ্বেষমূলক রাজনীতি নিয়ে আশংকা প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর।

কলকাতা, ২০ জুন:- প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার পয়গম্বর হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের নিন্দা করে প্রস্তাব গৃহীত হল রাজ্য বিধানসভায়।ওই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই ঘটনাকে সামন রেখে রাজ্যে যে দু একটি অশান্তির ঘটনা ঘটেছে তাও অনভিপ্রেত বলে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার বিধানসভার উল্লেখ পর্বে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিষয়টি তুলে বলেন ওই বিজেপি নেত্রীর মন্তব্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয়েছে।যদিও মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ করে রাজ্যে সম্প্রীতির আবহ বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে। পার্থ বাবুকে সমর্থন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে সাড়ে তিন কোটি মুসলিম রয়েছেন। কিন্তু গণ্ডগোল হয়েছে মাত্র তিনটি জায়গায়। সেখানেও প্রশাসন কড়া হাতে অশান্তি থামিয়েছে। বিদ্বেষমূলক রাজনীতি ভবিষ্যতে দেশ কে কোন পথে নিয়ে যাবে তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।এরপর ধ্বনিভোটে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়।

নূপুরদের ওই বক্তব্য নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বাদ যায়নি বাংলাও। হাওড়ায় যে ভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জাতীয় সড়ক আটকে, টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ হয়েছিল তা নিয়ে নবান্ন থেকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিধানসভার অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার রাজ্যে সাড়ে তিন কোটি মুসলিম রয়েছেন। অন্য কোথাও হয়নি। শুধু তিনটে জায়গায় গণ্ডগোল হয়েছে। হাওড়া, রেজিনগর ও নদিয়ায়। আমি মনে করি এটা হ‌ওয়া উচিত হয়নি। আমি কিন্তু এখানে অ্যারেস্ট করেছি। ওখানে এখনও অ্যারেস্ট করা হলো না কেন ?” সেদিন নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকেও মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, তিনি এই জঘন্য কথার তীব্র প্রতিবাদ করছেন। কিন্তু এ ভাবে মানুষকে আটকে বিক্ষোভ তিনি সমর্থন করেন না। জাতীয় সড়ক থেকে অবরোধ তোলারও আবেদন জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই আবেদনের পরও ঘণ্টা পাঁচেক চলেছিল অবরোধ।