এই মুহূর্তে কলকাতা

শিক্ষাসংক্রান্ত বিলের ভোটাভুটিতে চলতি অধিবেশনে যোগ দেবেন বিজেপির বিধায়করা।


কলকাতা, ১০ জুন:- বিধানসভার চলতি অধিবেশনে সাসপেন্ড হওয়া সাত সদস্য বাদে বিজেপির বাকি বিধায়করা অংশ নেবেন।শুক্রবার বিধানসভায় পরিষদীয় দলের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষা সংক্রান্ত বিলগুলির ভোটাভুটিতেও বিধায়করা যোগ দেবেন বলে ঠিক হয়েছে। আদালতের পরামর্শ মেনে বিজেপির সাসপেনশন প্রত্যাহার নিয়ে বিজেপি দুই দফায় প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রথম প্রস্তাবে সুদীপ মুখোপাধ্যায় এবং মিহির গোস্বামীর সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবি জানানো হবে। দ্বিতীয় প্রস্তাবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, পরিষদীয় দলনেতা মনোজ টিগ্গা-সহ বাকি পাঁচ বিধায়কের সাসপেনশন প্রত্যাহারের কথা বলা হবে। ওই দুই প্রস্তাব গৃহীত না হলে বিধানসভার লবিতে প্রতীকী অধিবেশন চালানো হবে। আগামী মঙ্গলবার ফের বিরোধী দলনেতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন।শুক্রবার থেকেই বিধানসভার বর্ষাকালীন অধিবেশন শুরু হয়েছে। ২ মিনিট নীরবতা পালনের পর এদিন অধিবেশন মূলতুবি ঘোষণা করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমবার বেলা ১১টায় ফের অধিবেশন শুরু হবে। বিজেপি বিধায়করা এদিন অধিবেশনে অংশ নেননি।গত বাজেট অধিবেশনে শুভেন্দু-সহ সাত বিজেপি বিধায়ককে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করা হয়। এই সাসপেনশনের প্রতিবাদে বিজেপি আদালতে মামলা করে। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট সাসপেনশন বিতর্ক বিধানসভাতেই মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। বিজেপি বিধায়কদের সোমবার বিধানসভায় এ বিষয়ে আলোচনা করতে বলেছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। আদালতের এই পরামর্শকে স্বাগত জানান অধ্যক্ষ। মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি মন্তব্য করেন, আমি অধ্যক্ষকে বলতে পারি না তিনি কীভাবে বিধানসভা চালাবেন। আবার অধ্যক্ষও আমাকে বলতে পারেন না আমি কেমনভাবে আদালত চালাব। অধ্যক্ষ বলেন, আমি সাসপেনশন প্রত্যাহারের আবেদন জানানোর জন্য বিজেপি বিধায়কদের অনুরোধ করেছিলাম। ওরা আমার অনুরোধ মানেননি। বিধানসভাকে এড়িয়ে আদালতে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল না। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী মঙ্গলবার।