এই মুহূর্তে কলকাতা

পুলিশের মধ্যে বেতন ও সুযোগ-সুবিধা পার্থক্য দূর করতে তৎপর হলেন মুখ্যমন্ত্রী।

কলকাতা, ২৬ মে:- সর্ব ভারতীয় আমলাদের সঙ্গে রাজ্যের আমলাদের বৈষম্য দূর করতে আগেই উদ্যোগী হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার পুলিশ বাহিনীর মধ্যে বেতন ও সুযোগ-সুবিধা পার্থক্য দূর করতে তৎপর হলেন তিনি। বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে কলকাতা পুলিশের পদক প্রদান অনুষ্ঠানে আইপিএস এবং ডব্লিউবিপিএস আধিকারিকদের মধ্যে বৈষম্য দূর করার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানের আগেই এ ব্যাপারে তিনি নিজের প্রস্তাব লিখিতভাবে মুখ্য সচিব স্বরাষ্ট্র সচিব এবং অর্থ সচিবের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে জানান। তবে বৈষম্য দূর করতে ঠিক কি পদক্ষেপ করা হবে সেটা মুখ্যমন্ত্রী ভেঙে বলেন নি। কলকাতা পুলিশের বার্ষিক পদক প্রদান অনুষ্ঠানে কর্ম ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখা ৭৯ জন পুলিশ কর্মীকে মুখ্যমন্ত্রী নিষ্ঠা পদক প্রশংসা পদক ও সেবা পদকে ভূষিত করেন। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কাজ করা পুলিশকর্মীদের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘‘আইএএস এবং আইপিএস-রা একটা নির্দিষ্ট ব্যবস্থার মধ্যে থাকেন। নির্ধারিত সময় তাঁরা সব কিছু পেয়ে যান। কিন্তু সমস্যায় পড়েন ডব্লিউবিপিএসের আধিকারিকরা।

ওঁদের জন্য কিছু একটা করা দরকার।’’রাজ্য পুলিশকে আরও শক্তিশালী করার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, সর্বভারতীয় পুলিশ সার্ভিস (আইপিএস) এবং রাজ্য পুলিশ সার্ভিস (ডব্লিউবিপিএস) থেকে উঠে আসা আমলাদের মধ্যে সমতা আনা হবে মর্যাদা আর অর্থ, দুই ক্ষেত্রেই। শুধু তাই নয়, পদোন্নতি-সহ তাঁদের আর্থিক সুযোগ-সুবিধার কথাও বললেন তিনি।সভায় মমতা বললেন, ‘‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছেন ওসি, এসআই, কনস্টেবলরা। নিচুতলার পুলিশকর্মীরা রাজ্যের সম্পদ। নিচুতলার পুলিশকর্মীরা সাহায্য না করলে এই সাফল্য আসে না। তবে রাজ্য পুলিশের কিছুটা সমালোচনাও সোনা গেছে মুখ্যমন্ত্রীর কন্ঠে।রাজ্য পুলিশের সঙ্গে কলকাতা পুলিশের তুলনা টেনে তিনি বলেন, ‘‘কলকাতা পুলিশকে আগে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড বলা হত। রাজ্য পুলিশকে আরও স্মার্ট হতে হবে। কলকাতা পুলিশের যা স্ট্রেন্থ রয়েছে, রাজ্য পুলিশের তা নেই। সেই কাজটা করতে হবে। অনেক নতুন থানা তৈরি করা হয়েছে। নতুন কমিশনারেট তৈরি করেছি। পুলিশের শূন্য পদে নিয়োগ করতে হবে।’’ শহরতলীর বিভিন্ন কমিশনারের গুলিকে আরও সমন্বয় বাড়ানোরও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।