এই মুহূর্তে কলকাতা

কন্যাশ্রী প্রকল্পপের স্বচ্ছতা আনতে এবার বাংলার শিক্ষা পোর্টাল এর মাধ্যমে নজরদারি চালাবে রাজ্য।

কলকাতা, ২৫ মে:- কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা রাজ্যের সমস্ত সরকারি বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত পড়ুয়ারা পাচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে শিক্ষা দফতরের বাংলার শিক্ষা পোর্টালের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে।। ২০১২ সাল থেকে চালু হওয়া এই প্রকল্পে সরকারি বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের ১৩ থেকে ১৮ বছরের ছাত্রীরা আবেদন করতে পারে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে বাংলার শিক্ষা পোর্টালে রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত স্কুলের শ্রেণী সহ পড়ুয়াদের বিস্তারিত তালিকা রয়েছে। এখন থেকে কন্যাশ্রী প্রকল্প রূপায়নের দ্বায়িত্বে থাকা সমাজ কল্যাণ দফতরের আধিকারিকেরা ওই তথ্য ভাণ্ডারের তথ্য ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন। নির্ধারিত বয়সের পর কোনও ছাত্রী কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় না এলে ওই তথ্য ভাণ্ডার থেকে তা জানা যাবে। তারপর সংশ্লিষ্ট পড়ুয়ার স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত তাঁকে প্রকল্পের আওতায় আনার ব্যবস্থা করা হবে। প্রকল্পের সুযোগ পাওয়ার উপযুক্ত একজন পড়ুয়াও যাতে কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতার বাইরে না থাকে তা সুনিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ বলে সমাজ কল্যাণ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য এখনও পর্যন্ত মোট সাড়ে ৭৭ লক্ষের বেশি ছাত্রী কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা থেকে রাজ্যের সরকারি বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের কোনও যোগ্য ছাত্রী যাতে আর বঞ্চিত না থাকে সেটাই সুনিশ্চিত করতে চাইছে। ২০১২ সাল থেকে চালু হওয়া এই প্রকল্পে সরকারি বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের ১৩ থেকে ১৮ বছরের ছাত্রীরা আবেদন করতে পারে। নতুন উপভোক্তারা এবারও এই প্রকল্পে যুক্ত হবে। তবে অন্যান্য বছর কতজন ছাত্রী নতুন করে এই প্রকল্পের আওতায় আসবে তার হিসেব কষে সংশ্লিষ্ট দফতর। সেই লক্ষ্যমাত্রা নবান্নকে জানানো হয়। তবে এবার কোনও টার্গেট ধরে এগনো হচ্ছে না। কারণ শিক্ষাদফতরের পোর্টাল ’ অনুযায়ী, অষ্টম শ্রেণির প্রতিটি ছাত্রীকেই কন্যাশ্রীতে নেওয়া হবে তবে আবেদনের পরেও কোনও ছাত্রী এই প্রকল্পের সুবিধা থেকে বাদ পড়ল কি না, তা যাচাই করার কোনও পদ্ধতি এতদিন ছিল না।

এজন্য মূলত নির্ভর করতে হতো জেলা আধিকারিকদেরই ওপর। সমস্ত রকম চেষ্টা সত্ত্বেও দেখা যেত, কিছু ছাত্রী রয়ে যাচ্ছে এই প্রকল্পের বাইরে। রাজ্য এবার এই আশঙ্কা দূর করতে চাইছে। করা হয়েছে, ‘বাংলার শিক্ষা’ পোর্টালে এতদিন থাকত কোন স্কুলে মোট কতজন ছাত্রছাত্রী‌ রয়েছে তার পরিসংখ্যান। নতুন পরিকাঠামোয় প্রত্যেক স্কুলের প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীর নাম এই পোর্টালে লেখা থাকছে। এবার থেকে নারী ও শিশু উন্নয়ন এবং সমাজ কল্যাণ দফতর শিক্ষাদফতরের এই তথ্য ব্যবহার করবে। তার ফলে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার যোগ্য প্রতিটি ছাত্রীকে সহজেই চিহ্নিত করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা। ‘বাংলার শিক্ষা’ পোর্টাল থেকে একটি স্কুলের ছাত্রীদের তালিকা মিলিয়ে দেখলে বুঝতে পারা যাবে ঠিক কতজন কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার উপযুক্ত। সেই অনুযায়ী যদি আবেদন পত্র না আসে, তখন খোঁজ নেওয়া হবে আবেদনপত্র কারা এবং কী কারণে জমা করতে পারেনি। তাদের নাম পাঠিয়ে আবেদনপত্র জমার জন্য প্রয়োজনীয় সাহায্য করার নির্দেশ দেওয়া হবে জেলা এবং স্কুলের আধিকারিকদের।