এই মুহূর্তে জেলা

জলদস্যুদের ধাওয়া করে পাকড়াও হুগলিতে।

সুদীপ দাস, ১৬ মে:- ওপারের পুলিশি ধরপাকড়ের জেরে এপারে আশ্রয় নিয়েছিল বালি পাচারকারিরা। এপার পলিশের নজরে এড়াতে জলের তলায় লুকিয়েও শেষ রক্ষা হলো না। রিতীমত বলিউডি কায়দায় জলদস্যুদের পিছু নিয়ে পাকড়ও করল জল পুলিশ। আপাতত ছ’জন পুলিশি হেফাজতে। উদ্ধার হয়েছে দুটি ছোট নৌকা ও নদী থেকে বালি তোলার দুটি মেশিন। সোমবার দুপুরে রোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছে চুঁচুড়া থানার বকুলতলা গঙ্গার ঘাটে। সম্প্রতি নদী থেকে বালি ও মাটি চুরির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই বিভিন্ন জায়গায় ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ। বিপদ বুঝে উত্তর ২৪পরগনার নৈহাটি থানা্র ছাই ঘাটে দিনের আলোয় গঙ্গা থেকে বালি তোলা বন্ধ করেছে বালি মাফিয়ারা। সেখানকার পাচারকারীরাই এপারে চুঁচুড়া থানার বকুলতলা ঘাটকে বেছে নেয়।

দিনভর এপারে আশ্রয় নিয়ে রাতের অন্ধকারে ফের ছাইঘাটে গিয়ে পাচারকারির ওই দল বালি তুলতো বলে অভিযোগ। সোমবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে চুঁচুড়া থানার পুলিশ হানা দেয় বকুলতলা ঘাটে। সেখানে গিয়ে প্রথমে ঘাটে রাখা বালি তোলার দুটি যন্ত্র সহ দু’জনকে আটক করে পুলিশ। বিপদ বুঝে একটি স্পীড বোটে চেপে জনা কয়েক পাচারকারী ওপারের দিকে রওনা দেয়। পুলিশের লঞ্চ তখন গঙ্গা বুক চিঁড়ে স্পিড বোটকে ধাওয়া করে। ছাই ঘাটে পৌঁছে বোট ফেলে চম্পট দেয় ওই পাচারকারি দলটি। ঠিক একই সময়ে বকুলতলা ঘাটের দিকে থাকা চার জনের অন্য একটি বালি পাচারকারি দল জলে ঝাঁপ দিয়ে নৌকার নীচে লুকিয়ে ছিলো। কিন্তু চুঁচুড়া থানার পুলিশের চোখ এড়াতে না পারায় চার জনের ওই দলকে ধরে ফেলে পুলিশ। আপাতত দুটি নৌকা ও দুটি বালি তোলার যন্ত্র সহ মোট চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।