সুদীপ দাস, ২৬ এপ্রিল:- নিজের মেয়ের সাথে একজোট হয়ে দুই বৌমার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো শাশুড়ি মায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ছোট বৌমা পালিয়ে বাঁচলেও শরীরের প্রায় চল্লিশ শতাংশ পুড়ে গিয়ে হাসপাতালের বেডে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে বড় বৌমা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ভদ্রেশ্বর থানার অন্তর্গত তেলিনিপাড়া এফ জি স্ট্রিটে। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শাশুড়ি মাকে মঙ্গলবারগ্রেফতার করে চন্দননগর আদালতে পাঠায় পুলিশ। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর ওই এলাকায় হীরালাল মাহাতো ও রামপতি মাহাতোর দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। সকলেরই বিয়ে হয়ে গেছে। মেয়ে পুতুলের শ্বশুরবাড়ী চন্দননগরে। দুই ছেলে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে এফ জি স্ট্রিটের বাড়িতেই থাকেন
অভিযোগ পুতুলকে ওই বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার জন্য ছেলে-বৌমাদের সাথে শাশুড়ি রামপতি মাহাতো দুর্ব্যাবহার করতো। রবিবার বিকেল ছটা নাগাদ ঘরের ভিতরে থাকা দুই বৌমার গায়ে ৮ লিটার কেরোসিন তেল ঢেলে দেয় রামপতি। তড়িঘড়ি ছোট বৌমা পালিয়ে বাঁচলেও জ্বলন্ত দেশলাই কাঠি বড় বৌমা সংঙ্গীতার গায়ে গিয়ে পরে। চিৎকার চেঁচামেচিতে এলাকাবাসীরা ছুটে আসেন। এরপরই দগ্ধ অবস্থায় সঙ্গীতাকে চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন সঙ্গীতাদেবী। ঘটনায় মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয় রামপতিকে। এদিনই তাঁকে চন্দননগর আদালতে তোলা হয়। যদিও ঘটনার পর থেকে পলাতক রামপতির মেয়ে পুতুল।