কলকাতা, ২২ এপ্রিল:- ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার অর্থনীতির উন্নয়নে বড়সর পদক্ষেপ। তৈরি হবে পাঁচটি আন্তর্জাতিক হাট। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মালদহ এবং বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার জিরো পয়েন্টে পাইলট প্রকল্প হিসেবে প্রথম এই আন্তর্জাতিক সীমান্ত হাট চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। এছাড়াও উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বসিরহাট ও বাংলাদেশের সাতক্ষীরা সীমান্ত, উত্তরবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত, বেনাপোল-পেট্রাপোল আন্তর্জাতিক সীমান্ত এবং নদীয়া জেলার গেদে ও বাংলাদেশের দর্শনা সীমান্তে বাকি হাট গুলি তৈরি করা হবে। এইজন্য দুই দেশের জিরো পয়েন্ট লাগোয়া ৭৫ মিটার অংশ করে জমি অধিগ্রহণ করে যৌথভাবে এই হাট তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুই দেশের সীমান্ত এলাকার পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী বাসিন্দারা এই বাজারে তাদের পণ্য সামগ্রী কেনাবেচা করতে পারবেন।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। উল্লেখ্য এই সীমান্ত হাট তৈরি নিয়ে বাংলাদেশ এবং ভারত সরকার ২০১০ সালের ২২ শে অক্টোবর সমঝোতা পত্র স্বাক্ষর করেছিল। এরপরে রাজ্য সরকার হাট তৈরীর জন্য জমি দেয়। এই হাট তৈরি হলে এরাজ্যের বাঙালিরা খুব সহজেই বাংলার ইলিশ পাবে। আর বাংলাদেশের বাসিন্দাও সহজে পশ্চিমবঙ্গের সামগ্রী পাবে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তথা প্রাক্তণ মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন এমনটা হলে সীমান্ত অপরাধ অনেকটাই কমে যাবে। আত্মসামাজিক উন্নতি হবে। অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটবে এলাকার বাসিন্দাদের। উল্লেখ্য এই হাট বাজারে কাঁচা সবজি ছাড়াও খাদ্যশস্য, মিষ্ট,মাছ, মাংস, ডিম যেমন বিক্রী হবে তেমন প্ল্যাস্টিকজাত সামগ্রী বিক্রী হবে। শুধু তাই নয় জামা, কাপড়, শাড়ি সহ একাধিক সামগ্রী বিক্রীর সুপারিশ রয়েছে সরকারী তালিকায়। আগামী ছয় মাসের মধ্যে শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।