এই মুহূর্তে কলকাতা

রাজ্যে শিল্পায়ন এবং কর্মসংস্থানই এখন প্রধান লক্ষ্য – মুখ্যমন্ত্রী।


কলকাতা, ২০ এপ্রিল:- রাজ্যে শিল্পায়ন এবং কর্মসংস্থানই এখন তাঁর প্রধান লক্ষ্য বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি জানিয়েছেন। নিউটাউনের কনভেনশন সেন্টারে আজ ষষ্ঠ বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের উদ্বোধন করে তিনি বলেন, রাজ্য সরকার কৃষি এবং শিল্পকে দুই বোনের মত মর্যাদা দেয়। কৃষিতে ইতিমধ্যেই এরাজ্য যথেষ্ট সফল। তাই এখন শিল্পায়নই তার প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। শিল্পের বিকাশে ল্যান্ড ব্যাংক গঠন,পৃথক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পনীতি, বালি খাদান নীতি, ইথানল নীতি, ইজ অফ ডুইং বিজনেস ,জমির ঊর্ধ্বসীমায় ছাড় সহ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত শিল্পপতিদের বিনিয়োগে আহ্বান জানান।

তিনি বলেন রাজনৈতিক বহুমত থাকলেও এরাজ্যে মানুষে মানুষে কোনরকম বিভেদ করা হয় না। সকলেই একটি পরিবার। এরাজ্যে বিনিয়োগকারীদেরও পরিবারের সদস্য হিসেবেই বিবেচনা করা হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দেন। কেন্দ্রীয় সরকার এজেন্সি দিয়ে শিল্পপতিদের বিরক্ত করছে বলে অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চে উপস্থিত রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর কে এই বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলতে অনুরোধ জানিয়েছেন। রাজ্যে শিল্পায়ন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগের প্রশংসা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর বলেন, বাংলা পূর্ব ভারতের অর্থনীতির মূল কেন্দ্র। ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিরও কেন্দ্র। মানব সম্পদের দিক থেকে রাজ্য অনেক এগিয়ে। বাংলার ক্ষমতা আছে দেশের অর্থনৈতিক মানচিত্র বদলে দেওয়ার। মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে রাজ্য উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে।

দেশ তিনি কেন্দ্র এবং রাজ্যকে একযোগে কাজ করার পরামর্শ দিয়ে বলেন এতে রাজ্যের আরও উন্নতি সম্ভব হবে। রাজ্যপাল বলেন, রাজনীতি এবং উন্নয়ন পৃথক রাখা উচিত। উদ্বোধন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন গৌতম আদানি, সজ্জন জিন্দাল সহ বিশিষ্ট শিল্পপতিরা। কর্ণধার গৌতম আদানি আগামী ১০ বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যবসা সম্প্রসারণের কথা ঘোষণা করেন। এ রাজ্যে ডেটা সেন্টার, উৎকর্ষ কেন্দ্র স্থাপন, ওয়ার হাউজিং, লজিস্টিক হাব নির্মাণের পরিকল্পনার কথা তিনি জানান। ১৯টি দেশ থেকে বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন ২৫০ জন প্রতিনিধি। এ ছাড়াও একাধিক বেশ ভার্চুয়াল ভাবে সম্মেলনে যোগ দিয়েছে।