কলকাতা, ৩১ মার্চ:- অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের হার কমাতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। স্বাভাবিক প্রসবের পরিবর্তে রাজ্যের সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে ক্রম বর্ধমান সিজারের প্রবনতা কমাতে অডিটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব জনস্বাস্থ্যের নিরিখে উদ্বেগজনক। কেন এত পরিমাণ সিজারের প্রয়োজন হচ্ছে তারও বিস্তারিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর সরকারি হাসপাতালে সিজারের হার ৩৪ শতাংশ এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে তা প্রায় ৬৩ শতাংশ। ২০১৫ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, মাতৃত্বকালীন শিশুমৃত্যু কমানোর ক্ষেত্রে সিজারের কোনও অবদান নেই। তাহলে ১০-১৫ শতাংশের বেশি সিজারের হার কেন, সেই প্রশ্ন তুলেছে স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশিকা।
ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের (৫) সমীক্ষা অনুযায়ী, সারা দেশে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের হার ১৭-২১ শতাংশ। ২০০৫ সাল থেকে দেশজুড়ে সিজারের মাধ্যমে ডেলিভারির হার ১৭% থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১.৫%। এ রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল গুলিতে সেই হার বেড়েছে ৩৪%। অথচ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন বলছে ১০ থেকে ১৫%-র বেশি সিজারিয়ান ডেলিভারির প্রয়োজনই পড়ে না গর্ভবতী মায়েদের। আর যথাযথ চিকিৎসকের নির্দেশ ছাড়া সিজার করলে মায়ের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এমনকী, শিশুমৃত্যুর হারও এই কারণেই বাড়ছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তাই বাংলায় সেই পরিস্থিতির বদল আনতে এই অডিট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। পশ্চিমবঙ্গে সেই হার সর্বোচ্চ। শুধু সরকারি ক্ষেত্রে এই হার ৩৪ শতাংশ। বেসরকারি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে তা দ্বিগুণ। আর সে জন্যই সিজার করলে কোন পরিস্থিতিতে সিজার এবার থেকে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে স্ত্রী রোগ চিকিৎসকদের।