এই মুহূর্তে জেলা

৬ জনের প্রানেও হুঁশ ফেরেনি প্রশাসনের , নিরাপত্তাহীন ঘাটে অজস্র মানুষের গঙ্গাস্নান।

সুদীপ দাস, ২৯ মার্চ:- দোলপূর্নিমা থেকে আজ অবধি মাত্র ১১দিনে হুগলী-চুঁচুড়া পৌর এলাকায় গঙ্গাডুবির ঘটনায় ছ-ছ’টি প্রান গেছে। এ’কদিনে জেলা ধরলে সংখ্যাটা আরও বাড়বে। তবুও হুঁশ ফেরেনি প্রশাসনের। মঙ্গলবার চুঁচুড়ার মল্লিকঘাটে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য শ’য়ে শ’য়ে মানুষের ভিড় জমলো। কিন্তু গঙ্গাঘাটে পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তজনিত কোন ব্যাবস্থাই চোখে পরলো না। রীতি মেনে প্রতি বছর ব্যান্ডেল বালিকাটা এলাকায় ম্যাড্রাসি সম্প্রদায়ের শীতলা পুজোকে কেন্দ্র করে ভেলভেল উৎসব হয়। টানা কয়েকদিন ধরে এই উৎসব চলে। মঙ্গলবার ধর্মীয় এই অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে ওই এলাকার কয়েকহাজার মানুষ গঙ্গাঘাটে উপস্থিত হন।

গঙ্গাস্নানের পর গঙ্গাঘাটে ধর্মীয় রীতি পালন করে তাঁরা মাথায় কলসি সহযোগে গঙ্গাজল নিয়ে নিজ এলাকায় যান। এদিন সেই উপলক্ষ্যেই চুঁচুড়ার মল্লিকঘাটে বহু মানুষের ভিড় জমে। আট থেকে আশি সকলেই গঙ্গাস্নান করেন। কিন্তু গঙ্গাঘাটে নুন্যতম নিরাপ্তার ব্যাবস্থা চোখে পরেনি। এ বিষয়ে হুগলী সাংগঠনিক বিজেপির সাধারন সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন চুঁচুড়ায় দোলের দিন থেকে গঙ্গায় ডুবে ছ’জন মারা গেলো। কিন্তু তারপরও পুলিশ কিংবা পৌর প্রশাসনের কোন হেলদোল নেই। তার মানে মানুষ ডুবে যাওয়ার পরই এরা তৎপরতা গ্রহন করে। অন্যদিকে এবিষয়ে হুগলী-চুঁচুড়া পৌরসভার পৌরপ্রধান অমিত রায় বলেন

ধর্মীয় অনুষ্ঠানের কথা আমরা জানি না। আমাদেরকে জানানো উচিত ছিলো। জানলে অবশ্যই ব্যাবস্থা নিতাম। পৌরপ্রধান যাই বলুক না কেনো ব্যান্ডেল বালিকাটা এলাকার এই শীতলা পুজো কিন্তু নতুন নয়। আর এই পুজো কারোর ব্যাক্তিগত কিংবা কোন একটি ক্লাবের নয়। এটা তো একটি সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠান। যেই অনুষ্ঠানকে ঘিরে গোটা এলাকার মানুষ উৎসবে মাতেন। তাহলে বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট কোন উৎসবের কথা তো পুর-প্রশাসনের জানা উচিত। আর তা জেনে নিজেদেরই ব্যাবস্থা নেওয়া উচিত। ছট, কিংবা শিব পুজোর সময় ঠিক যেভাবে গঙ্গাঘাটে ব্যাবস্থা নেওয়া হয়!