এই মুহূর্তে কলকাতা

দুদিনের ধর্মঘটে জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকার।

কলকাতা, ২৭ মার্চ:- বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের ডাকা ধর্মঘটে জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে রাজ্য সরকার সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে। ধর্মঘটের দু দিন সরকারি সব প্রতিষ্ঠানে হাজিরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাশাপাশি জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত সরকারি বেসরকারি বাস রাস্তায় নামানো হবে। অশান্তি এড়াতে থাকবে বাড়তি পুলিশ। জোর করে ধর্মঘট সফল করার চেষ্টা করা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, বাকি দিনের মতো সোম ও মঙ্গলবার স্বাভাবিক থাকবে পরিষেবা। সোমবার থেকে বাড়ছে মেট্রোর সমসীমা।

বনধে ব্যাংকিং টেলিকম সহ বিভিন্ন পরিষেবা প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। শুধু ব্যাঙ্ককর্মীরাই নন, কয়লা, ইস্পাত, তেল, টেলিকম, ডাক, আয়কর, তামা এবং বিমার মতো অন্যান্য খাতের শ্রমিকরা ধর্মঘটে অংশ নিতে চলেছে। রেলওয়ে এবং প্রতিরক্ষা সেক্টরের ইউনিয়নগুলিও এই ধর্মঘটে সামিল হতে চলেছে। ধর্মঘটে সামিল হয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চাও। ধর্মঘটের সমর্থনেই কলকাতার দুই প্রান্তে সভা করে বামফ্রন্ট। শ্যামবাজার মোড়ে প্রধান বক্তা ছিলেন মহম্মদ সেলিম। শিয়ালদহ স্টেশনের সামনে সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন সিপিআইএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। সেখানেই ধর্মঘট সমর্থনের দাবিগুলির পাশাপাশি ছাত্রনেতা আনিশ খান মৃত্যুর ঘটনা-সহ একের পর এক খুন ও রামপুরহাট গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে ব্যানার লাগানো হয়।