এই মুহূর্তে কলকাতা

বাংলা মাতৃ প্রকল্পে বঞ্চিত রাজ্য , এই অভিযোগে বিধানসভায় সরব চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

কলকাতা, ২৪ মার্চ:- এরাজ্যের গর্ভবতী এবং সদ্য সন্তানের জন্ম দেওয়া মায়েরাও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে রাজ্য সরকার অভিযোগ করেছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আজ “বাংলা মাতৃ প্রকল্পে” রাজ্যকে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বিধানসভায় সরব হন। রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের বাজেট আলোচনা শেষে জবাবী ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি অভিযোগ করেন এই প্রকল্পে গত দু’বছরে ৮৯ লক্ষ মায়ের জন্য কেন্দ্রীয় বরাদ্দ ৯০০ কোটি টাকা পাওয়া যায়নি। তিনি আরও জানান গুজরাটের অনুকরণে কেন্দ্রীয় সরকারের শুরু করা‘’প্রধানমন্ত্রী মাত্রু বন্দনা যোজনা’’এরাজ্যে “বাংলা মাতৃ প্রকল্প” নামে পরিচালিত হয়। যেখানে তিনটি ভাগে গর্ভবতী হওয়ার সময় থেকে সন্তান জন্ম দেওয়ার পর পর্যন্ত মহিলারা মোট ৫ হাজার টাকা করে পান।

কিন্তু তা দেওয়া হচ্ছে না। নাম পরিবর্তন করার জন্যই এই বঞ্চনা করা হচ্ছে কিনা তা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। অন্যদিকে দফতরের বাজেট আলোচনার শেষে জবাবী ভাষণে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী রাজ্যের সামগ্রিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা মানোন্নয়নের দিকটি তুলে ধরেন। করোনার বিরুদ্ধে দু’বছরের লড়াই এবং তার সাফল্যের দিকটিও ব্যাখ্যা করেন তিনি বলেন, কোভিড আক্রান্তদের জন্য অক্সিজেন পরিষেবাটা সে সময় খুবই জরুরি ছিল। অক্সিজেন না পেলে কোভিড আক্রান্তদের প্রাণ বিপন্ন হতো। সে কারণে ২৭ টি হাসপাতালে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। ১৩.১৮ কোটি মানুষকে রাজ্য সরকার উদ্যোগ নিয়ে ভ্যাকসিন দিয়েছে। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বিরোধীদের উদ্দেশ্যে বলেন, জীবন বিপন্ন করে কাজ করেছে স্বাস্থ্য দফতর কর্মীরা।

বিরোধী দলের তরফ থেকে সমালোচনা করলেও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশংসা করতে দেখি না। সাধারণ মানুষের জন্য আরও বেশ কিছু পরিষেবার কথা তুলে ধরে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, এসএসকেএম ও উত্তরবঙ্গ হাসপাতালে ক্যান্সারের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৬৯ টি নার্সিং ট্রেনিং কলেজ তৈরি হয়েছে। আড়াই কোটি পরিবারকে স্বাস্থ্য সাথীর আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। রাজ্যের সকলের জন্য বিনামূল্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়েছে। ২৩৯৫ টি হাসপাতালে স্বাস্থ্য সাথীর মাধ্যমে পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে ৩০ লক্ষ ৫৭ হাজার ৬০৭ জন মানুষ এখনো পর্যন্ত স্বাস্থ্য সাথীর পরিষেবা পেয়েছেন। এমনকী ভেলোরে ৭ হাজারের বেশি মানুষ স্বাস্থ্য সাথীর পরিষেবা পেরেছে। রাজ্যে চিকিৎসা পরিষেবার উন্নতি ঘটেছে। ৪২ টি মাল্টি সুপার হাসপাতাল তৈরি হয়েছে।