সুদীপ দাস, ২২ মার্চ:- ষাটোর্দ্ধ ব্যাক্তিদের ২য় ডোজ নেওয়ার প্রবনতা অনেকটাই কম। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের হিসাব বলছে হুগলী জেলায় ৯৮শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ১ম ডোজ নেওয়া হলেও ২য় ডোজের ক্ষেত্রে তা ৯০শতাংশের কাছাকাছি। বাকি ৮শতাংশ মানুষ বেশীরভাগই ষাটোর্দ্ধ। ১ম ও ২য় ডোজের সামঞ্জস্য রক্ষার্থে ইতিমধ্যেই জাতীয় স্বাস্থ্য অভিযান স্বীকৃত একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে গাঁটছড়া বেঁধেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। সেই সংগঠনের হাত ধরে ইতিমধ্যেই হুগলী জেলায় ১০টি মোবাইল ভ্যাকসিন ভ্যান পথে নেমেছে। মঙ্গলবার সেইরকমই আরও ১৯টি গাড়ি পথচলা শুরু করলো। এদিন চুঁচুড়া রবীন্দ্রভবনের সামনে থেকে আকাশী পতাকা নেরে গাড়িগুলির পথচলা শুরু করেন
হুগলীর জেলাশাসক দীপাপ্রিয়া পি ও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভুঁইয়া। উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এদিন জেলাশাসক বলেন হুগলী জেলায় ২য় ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে। সেই ঘাটতি মেটাতেই এবার থেকে মোট ২৯টি ভ্যাকসিন ভ্যান জেলার চারটি মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ২য় ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রে মানুষকে উদবুদ্ধ করবে। কোথাও সেন্টারে গিয়ে ভ্যাকসিন নিতে অক্ষম ব্যাক্তিরা থাকলে তাঁদেরকে এই ভ্যানে করেই কাছের ভ্যাকসিন সেন্টারে নিয়ে গিয়ে টিকা দেওয়া হবে। আবার সেন্টার থেকে বাড়িতেও পৌঁছে দেবে এই ভ্যান। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভুঁইয়া বলেন এই মোবাইল ভ্যানে আশা কর্মীরা থাকবেন। তাঁরাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে কোভিড ভ্যাকসিনের ২য় ডোজ নিতে উদবুদ্ধ করবেন।