এই মুহূর্তে জেলা

এক জায়গায় নথিভুক্তকরন, অন্যত্র বন্টন, যন্ত্রনার নাম ‘দুয়ারে রেশন’!

সুদীপ দাস, ১৭ মার্চ:- কথা ছিল সাধারনের ঘরে পৌঁছে যাবে রেশন। গতবছর বিধানসভা ভোটের পর নতুন সরকার ঘটা করে পরীক্ষামূলকভাবে “দুয়ারে রেশন” প্রকল্পের সুচনা করেন। আজও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পরীক্ষামূলকভাবে দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু রয়েছে। তবে বহুক্ষেত্রেই দেখা গেছে দুয়ারে বলতে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় ক্যাম্প করে সেখানকার মানুষদের রেশন বন্টন করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় ক্যাম্প করা হচ্ছে ঠিকই, তবে বেশিরভাগ জায়গাতেই সেই ক্যাম্প থেকে শুধুমাত্র গ্রহীতাদের আঙুল ছাপ নিয়ে টোকেন দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই টোকেন নিয়ে গ্রাহকরা রেশন দোকানে পৌঁছে রেশন সংগ্রহ করছেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে এরকমই অভিযোগ আসছিলো।

বৃহস্পতিবার হুগলীর দেবানন্দপুরে গিয়ে সেই ছবিই ধরা পরলো আমাদের ক্যামেরায়। দেবানন্দপুরে কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের গ্রন্থাগারের অপরপ্রান্তে একটি নাটমন্দিরে চললো অবাক দুয়ারে রেশন। পরীক্ষামূলক দুয়ারে রেশনের প্লেক্স ঝুলিয়ে এখানে বায়োমেট্রিক যন্ত্রে এলাকার রেশন গ্রহীতাদের আঙুলের ছাপ নিয়ে টোকেন দিয়ে দেওয়া হলো। এরপর সেই টোকেন নিয়ে গ্রাহকরা তাঁদের রেশন দোকানে গিয়ে রেশন তুললেন। অর্থাৎ নামে দুয়ারে রেশন হলেও এলাকার মানুষকে দু’বার দুটি ভিন্ন জায়গায় পৌঁছে রেশন পেতে হলো। গ্রাহকদের বক্তব্য এভাবে দুয়ারে রেশন তুলতে আমাদের খাটনি বেড়েছে। যদিও দোকান মালিক হেমন্ত মজুমদারের সাফাই আমরা অন্যান্য সব জায়গাতে গিয়েই রেশন দিয়েছি। কিন্তু শুধুমাত্র এখানেই জায়গা পাইনি। প্রচন্ড রোদে গ্রাহকদের সমস্যা হবে। তাই নাম নথিভুক্ত করে দোকান থেকে রেশন তুলতে বলেছি।