মহেশ্বর চক্রবর্তী, ৯ মার্চ:- হুগলি জেলার অন্যতম ছোট শহর হলো আরামবাগ।এই আরামবাগ শহরের ছোট রেল স্টেশন আরামবাগ রেল স্টেশন। এই রেল স্টেশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করলো সংশ্লিষ্ট রেল প্রশাসন। স্টেশনের ভিতর ও প্লাটফর্মে অহেতুক ঘোরাঘুরি বন্ধ করা থেকে শুরু করে ধুমপান করলেই ধরপাকর থেকে শুরু করে গ্রেপ্তার পযন্ত করছে রেল পুলিশ। লাগাতার এই অভিযান শুরু করেছে আরামবাগ রেল স্টেশনের আরপিএফরা। রেল পুলিশ সুত্রে জানা গেছে ইতিমধ্যেই আরামবাগ রেলস্টেশনে অহেতুক ঘোরাঘুরি করার জন্য দুই জনকে গ্রেপ্তার করে চন্দননগর আদালতে তোলা হয়েছে।
পাশাপাশি সাতজন ব্যক্তি স্টেশনের মধ্যে ধুমপান করার জন্য ধুমপান নিষিদ্ধ আইন অনুযায়ী ফাইন করে তাদের সতর্ক করা হয় রেল পুলিশের পক্ষ থেকে। জানা গেছে, আরামবাগ রেল স্টেশনে এলাকার সাধারণ মানুষকে বিনা টিকিটে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি অহেতুক বসে গল্প করার বিষয়েও নিষিদ্ধ করা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আরামবাগের মানুষের কাছে স্বপ্নের রেলস্টেশন হলো আরামবাগ রেলস্টেশন। কেননা বহু চেষ্টার পর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকালীন এটি চালু হয় এবং উনি উদ্বোধন করেন। তারকেশ্বরের দিক থেকে আরামবাগ পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার পথে ট্রেন চলে ২০১২ সালে। তারপর থেকে গোঘাট পর্যন্ত রেল চলাচল করছে।
২০২১ সালের পর থেকেই দেখা যায় এই স্টেশনে বিকাল হলেই বহু মানুষ স্টেশনে এসে ভির জমান বা শহরের প্রবীন মানুষের বসে গল্প করেন। এলাকার মানুষের আবেগ জড়িত থাকায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি ও বর্তমান পরিস্থিতিতে রেল যাত্রী ও প্রবীন শহরবাসীর নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তা নিষিদ্ধ করে সংশ্লিষ্ট রেল কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়ে আরামবাগ রেলস্টেশনের এক রেল পুলিশ আধিকারিক জানান, যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই স্টেশনে ধুমপান নিষিদ্ধ করা থেকে শুরু করে অহেতুক ঘোরাঘুরি ও গল্প করা বন্ধ করা হয়েছে। আমরা এই বিষয়ে এলাকার মানুষকে সচেতন করছি। স্টেশনের নিরাপত্তা অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। সবমিলিয়ে আরামবাগ রেল স্টেশনে নিরাপত্তা মজবুত করায় খুশি স্থানীয় বুদ্ধিজীবি মানুষ।