হুগলি, ৭ মার্চ:- নানা প্রজাতির জবা ফুল ফুটিয়ে ইন্ডিয়া বুক অব্ রেকডর্স এর মানপত্র ও পদক অর্জন করেছে সিঙ্গুরের বাসুবাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধুবাটি গ্রামের দীপ চক্রবর্তী। সম্প্রতি ৩০ টি নতুন প্রজাতির জবা গাছের ক্রস পলিনেশন এর মাধ্যমে বীজ তৈরী করেছে। যার মধ্যে দশটি জবা গাছ ভ্যারাইটি ইন্টারন্যাশনাল হাইবিসকাস সোসাইটিতে রেজিস্টার্ড হয়েছে। মাধ্যমিক পাশের পর থেকেই এক চিলতে ছাদের উপর টবে সাজানো রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির জবা গাছ। দীপের ছাদ বাগানে রয়েছে বেঙ্গল সানরাইজ, মুনলাইট ইয়োলো, মাদার টাচ্ সিঙ্গুর, সাইনিং ব্লু,
ডার্ক মাদার অফ বেঙ্গল, বেঙ্গল লোটাসিয়া সহ বিভিন্ন প্রজাতির রঙবেরঙের জবা ফুলের গাছ। বর্তমানে রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনে এম এস সি’র বোটানি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। স্কুলে পড়ার সময় হাত খরচের টাকা জমিয়ে গত পাঁচ বছর ধরে জবা গাছের বিভিন্ন প্রজাতির ডাল ও বিদেশ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির বীজ সংগ্রহ করে, তার উপর গবেষনা করেছে। নিম্নমধ্যবিত্ত সংসারে খুব কষ্ট করে পড়াশোনার পাশাপাশি গবেষণার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে দীপ। তার তৈরী ছাদ বাগানের জবা গাছের পরিচর্যায় সাহায্য করে দীপের মা। মায়ের আশা ছেলের এই কর্মকান্ড দেখে, অনান্যরা গাছের প্রতি আরো যত্নশীল হয়ে সবুজায়নের পথে এগিয়ে আসুক।
দীপের এই সাফল্যে খুশি গ্রামের মানুষজন। দীপের আগামী দিনে ইচ্ছা সরকারী কোনো বোটানিক্যাল গার্ডেনে আরো নতুন নতুন প্রজাতির জবা গাছ নিয়ে গবেষণামূলক কাজ করা ও অন্যদের মধ্যে জবা গাছ তৈরী করতে উদ্বুদ্ধ করা। তবে আমাদের দেশে এই ধরনের জবা ফুল ফুটিয়ে তোলার জন্য শীতকাল আদর্শ সময়। কারণ, আমাদের দেশে বছরের তিনমাস বাদে গড় তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রী। যদি বাগানের মাথায় উপযুক্ত ঠান্ডার পরিবেশ তৈরি করে চাষ করা যায়, সেক্ষেত্রে আট ইঞ্চি থেকে বারো ইঞ্চি মাপের বিভিন্ন প্রজাতির জবা ফুল সারা বছর পাওয়া সম্ভব। সেই কারণে পৃথিবীর অনান্য শীতকালীন দেশে সারাবছর এই ধরনের বিভিন্ন বাহারি জবা ফুল দেখা যায়।