হাওড়া, ১৯ ফেব্রুয়ারি:- শুক্রবার রাতে আলিয়া ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন এক ছাত্রকে তিনতলার ছাদ থেকে ফেলে মারার অভিযোগ উঠলো। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার আমতা থানার সারদা দক্ষিণ খাঁ পাড়ায়। মৃত যুবকের আনিস খান (২৮)। আনিসের বাবা সালাম খানের অভিযোগ, শুক্রবার রাত ১টা নাগাদ পুলিশের পরিচয় দিয়ে আসা চারজন এসে ছেলেকে ডাকতে থাকে। একজনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলে অভিযোগ করেন বাবা। এরপর তিনতলায় নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে আনিসকে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকার লোকজন ছুটে আসেন। খবর পেয়ে শনিবার সকালে আসে আমতা থানার পুলিশ। সেখানে স্থানীয়রা ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরিবার ও স্থানীয় মানুষদের দাবি অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে হবে। স্থানীয়রা জানান, আনিস এলাকায় প্রতিবাদী যুবক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। আনিসের বাবা সালেম খান জানান, রাত ১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। ওর কাছে বাড়ির চাবি ছিল। রাতে দেরি করে বাড়ি এলে সেই চাবি দিয়ে দরজা খুলে ঘরে ঢোকে। শুক্রবার জলসা শুনে রাত ১টা নাগাদ বাড়িতে ফেরেন আনিস।
এরপর রাতে পুলিশ পরিচয়ে এসে চারজন আনিসের খোঁজ করেন। তিনি দরজা খুললে একজন তাঁর সঙ্গে থাকেন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে। বাকি তিনজন আনিসকে নিয়ে উপরে চলে যায়। এরপর তারা ছেলেকে ছাদ থেকে তুলে নিচে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ তাঁর। নিচে পড়ে মাথায় আঘাত লেগে আনিসের মৃত্যু হয় বলেও অভিযোগ তাঁর। যারা পুলিশ পরিচয়ে এসেছিলেন এদের মধ্যে একজন পুলিশের পোশাকে ছিলেন। বাকি তিনজন সাধারণ পোষাকে ছিলেন। এতো রাতে আনিসকে খোঁজার কারণ হিসেবে তাঁরা জানায় বাগনান থানার এক মামলায় আনিস অভিযুক্ত। সেই কেসে জামিন হয়নি বলে এসেছে আনিসকে ধরতে। তিনি জানেন না এমন ঘটনা কেন ঘটলো। তাঁর বক্তব্য, আনিস কলকাতা আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করে প্রতি সপ্তাহে সে এখানে যাতায়াত করে। এর পাশাপাশি সে ছাত্র রাজনীতিও করে। স্থানীয় বাসিন্দা আসমিন খান জানান, ১টা নাগাদ পুলিশ বাড়িতে এসে আনিসের খোঁজ করে। এরপর একজন বাইরে থাকে বাকি তিনজন উপরে উঠে যায়। তার মিনিট পাঁচেক পর তারা আনিসকে ফেলে দেয় ছাদ থেকে। এরপর তারা অন্য রাস্তা দিয়ে চম্পট দেয়। এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য আনিস এলাকার প্রতিবাদী মুখ ছিল। অসামাজিক কাজ হলে তার প্রতিবাদ করত সে। ভালো ছেলে হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিল। তারা চাইছেন যারা এমন কাজ করেছেন ঘটনার প্রকৃত তদন্ত করে যেন সেই দোষীদের শাস্তি হয়।