এই মুহূর্তে জেলা

রামেই ” শ্রী ” তৃণমূলের , তৃতীয় বারের জন্য চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী।

সুদীপ দাস, ১৮ ফেব্রুয়ারি:- ৩য় বারের জন্য চন্দননগরের মেয়র হলেন রাম চক্রবর্তী। টানা ৬ বারের কাউন্সিলর তৃণমূলের এই বর্ষীয়ান নেতা। ১৯৯ ৫সালে কংগ্রেসের টিকিটে প্রথমবার চন্দননগর থেকে কাউন্সিলর হিসাবে নির্বাচিত হন রামবাবু। ২০০০ সালে তৃণমূলের টিকিটে ২য় বারের কাউন্সিলর। ২০০৫ সালে তৃণমূলের টিকিটে জিতে তিনি চন্দননগর পুরনিগমের বিরোধী দলনেতা নির্বাচিত হন। ২০১০ সালে প্রথমবার চন্দননগর পুরনিগম দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেবার ৪র্থবারের জন্য জিতে রাম চক্রবর্তী মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালেও তৃণমূল দখল করে চন্দননগর পুরনিগম। সেবার ২য় বারের জন্য মেয়র হিসাবে নির্বাচিত হন রামবাবু। তবে আড়াই বছরের মধ্যে দলীয় কোন্দলে চন্দননগরের নির্বাচিত বোর্ড ভেঙে যায়। তারপর একবার নতুন বোর্ড গঠন করা হলেও তা দীর্ঘমেয়াদি হয়নি। দলীয় কোন্দলে কিছুদিনের মধ্যেই সেই বোর্ডও ভেঙে যায়।

There is no slider selected or the slider was deleted.


এরপর থেকে প্রশাসক হিসাবে চন্দননগর কর্পোরেশনের দ্বায়িত্ব সামলান পুর-কমিশনার। কোভিডের জন্য পুর-নির্বাচন দু’বছরের জন্য পিছিয়ে যায়। তাই এবার চন্দননগরের মেয়রের দ্বায়িত্বে দল কাকে বসায় সে দিকে নজর ছিলো সকলের। শুক্রবার কোলকাতার কালীঘাটে তৃণমূলের কেন্দ্রীয় কর্মসমিতির বৈঠকে বিধাননগর ও আসানসোলের সাথে চন্দননগরের মেয়রের পদ ঠিক করে দল। সেখানেই চন্দননগরের মেয়র হিসাবে ৩য় বারের জন্য রাম চক্রবর্তীর নাম ঘোষনা করেন রাজ্যে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিন সন্ধ্যায় রামবাবুর নাম ঘোষনা হতেই চন্দননগরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে রামবাবুর বাড়িতে খুশির জোয়ার শুরু হয়। চলে মিষ্টি মুখ। প্রায় বিরোধী শূন্য চন্দননগর পুরনিগমের দ্বায়িত্ব পেয়ে খুশি রাম চক্রবর্তী। তিনি বলেন সকলকে নিয়ে কাজ করবো। বিশেষ করে চন্দননগরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএমের টিকিটে জেতা অভিজিৎ সেন(হাঁদা)-কেও গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানান রাম চক্রবর্তী।

There is no slider selected or the slider was deleted.