এই মুহূর্তে জেলা

নদীর জল প্লাবিত হয়ে চাষের জমিতে , আর্থিক সঙ্কটের মুখে খানাকুলে আলুচাষিরা।

হুগলি, ১৬ ফেব্রুয়ারি:- নদী থেকে ক্যানেল হয়ে জল হু হু করে জমিতে প্রবেশ করে। প্লাবিত হয় কয়েক হাজার আলু জমি। আর্থিক সংকটের মুখে কয়েক হাজার আলুচাষী। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার খানাকুলে। আলু তোলার মুখেই সেচের জলে আলু জমি প্লাবিত হওয়ায় বিপাকে কয়েক হাজার কৃষক। জানা গিয়েছে, ক্যানেলের জল খানাকুলের ধাড়াশিমুল, ২৪পুর, গনেশপুর,সহ খানাকুল এক ও দুই নম্বর ব্লকের বেশকয়েকটি এলাকার কয়েক হাজার আলু জমি প্লাবিত হয়। বার বার ফসলে ক্ষতির সম্মুখিন হয়ে বিডিও অফিসের সামনে একযোগে আত্মহত্যার হুশিয়ারী দিচ্ছেন তারা। স্থানীয় কৃষকদের দাবী,রামপুর খালের সঠিক সংস্কার না হলে এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচার কোনো রাস্তা নেই তাদের কাছে। উল্লেখ্য খানাকুল বন্যা প্রবন এলাকা। ২০২১ সালে ভয়ংকর বন্যায় ব্যাপক ফসল থেকে শুরু করে ঘরবাড়ি সব ধ্বংস হয়ে যায়। বর্ষার সময় আমোন ধান তাই খানাকুলের চাষীরা চাষ করতে পারে না। বরো ধান চাষের ওপর তারা নির্ভরশীল। পাশাপাশি রবি ফসল ও আলু চাষই তাদের অর্থনীতির ভিত্তি অনেকটাই তৈরি করে।তাই শীতের মরসুমে বরো চাষের জন্য জল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বরো ধান চাষ হলে তবেই ওই এলাকার মানুষ এক প্রকার বেঁচে থাকার পথ খুঁজে পাবে।অপরদিকে আলু চাষও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বার বার প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাটিয়ে চাষীরা আলু চাষ করেছেন। বহু কষ্ট করে এই বছর ওই এলাকার মানুষ আলু চাষ করেন। কিন্তু হঠাৎ করে জলাশয় থেকে বরো চাষের জন্য ছাড়া জল ক্যানেলের মধ্য দিয়ে আলু জমি প্লাবিত করে। মাথায় হাত পড়ে চাষীদের অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের দপ্তরে ঘুরেও কোনো সুরাহা হয়নি। বারবার নিম্নচাপের কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন চাষীরা। আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েও আবারো আশা নিয়ে নতুনভাবে চাষ শুরু করেছিলেন। কিন্তু সেচের জলের জমি প্লাবিত হয়ে যাওয়ার ফলে আবার আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা তাদের। এই অবস্থায় তাদের একটাই দাবি রামপুর খালের সঠিক সংস্কার করা হোক। এই বিষয়ে খানাকুল দুই নম্বর ব্লকের বিডিও শঙ্কো বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বরো ধান ও আলু চাষ খানাকুলে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই দুটি ফসলকে বাঁচানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সমস্যা অনেকটাই কেটে গেছে। এটা আমি গুরুত্বসহ দেখছি। রামপুর খালের সংস্কারের বিষয়ে উচ্চ প্রশাসনিক আলোচনা চলছে।সবমিলিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে শুরু করে জলাশয় থেকে ছাড়া জলে প্লাবিত আলু জমি, এর জেড়ে আর্থিক সংকটে চাষীরা।