হুগলি, ১৪ ফেব্রুয়ারি:- এখনকার ছাত্র-ছাত্রীরা অনেক বেশি কেরিয়ার সচেতন। মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিকের পর অনেক পড়ুয়া প্রথাগত পড়াশুনার বাইরে গিয়ে জীবনে প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার বা শিক্ষককতা না এখন পেশার বিভিন্ন দিক খুলে গেছে। ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে যারা পড়ে তাদের সেই সু্যোগ মেলে অনেকটা অর্থের বিনিময়ে। তবে বাংলা মাধ্যমে সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত স্কুলে সেই সুযোগ কম। চুঁচুড়ার শতাব্দী প্রাচীন বালিকা বানী মন্দির স্কুলের ছাত্রীদের সেই সুযোগ করে দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, অনান্য বাংলা মাধ্যম স্কুলে যখন পড়ুয়া কমছে বানী মন্দীর স্কুল সেখানে ব্যাতিক্রম।
এখানে দিন দিন ছাত্রী সংখ্যা বাড়ছে। অনেক সাধারন ঘর থেকে ছাত্রীরা আসে তাদের অভিভাবকরা হয়ত সেই ভাবে তাদের গাইড করতে পারেন না। তাদের এই কাউন্সেলিং এ খুব সুবিধা হবে। জর্জ টেলিগ্রাফের মত সংস্থার প্রতিনিধিরা এসে ছাত্রীদের কেরিয়ার তৈরীর জন্য গাইড করছেন। কোন লাইনে পড়লে ভবিষ্যতে কর্মসংস্থানের সুযোগ বেশি মিলবে তার দিশা দেখাচ্ছেন। জর্জ টেলিগ্রাফের পার্থ রায় ছাত্রীদের কেরিয়া গড়তে কি করতে হবে তা ব্যাক্ষা করেন। বানী মন্দিরের ছাত্রী নম্রতা ব্যানার্জি, রূপসা বোস, অর্পিতা চক্রবর্তীরা বলেন, এতদিন শুধু পড়াশোনা নিয়ে ভেবেছি। পড়াশোনা শেষে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। কিন্তু কি ভাবে সেটা জানতাম না। আজ এই কেরিয়ার কাউন্সেলিং এ অনেক কিছু জানতে পারলাম। প্রথাগত পড়াশোনার বাইরে অনেক দিক রয়েছে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হবার সেটা জেনে চেষ্টা করব নিজেকে তৈরী করতে।