কলকাতা, ৩১ জানুয়ারি:- লাগাতার দু’বছর অতিমারীর কামড়ে বেহাল অবস্থা অর্থনীতির। পদে পদে রয়েছে কেন্দ্রের ‘অসহযোগিতা’। তবু রাজ্যের মানুষের স্বার্থে ফের জনমুখী বাজেট পেশের তোড়জোড় করছে নবান্ন। বেশ কয়েক মাস আগেই বিভিন্ন দফতরের আয়-ব্যয়ের হিসেব জমা পড়েছে নবান্নে। বাজেটে আগামী আর্থিক বছরের জন্য ওইসব দফতরের ব্যয়ের সংস্থান করতে হবে। তবে এর সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প, নারী সশক্তিকরণ, গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন, লক্ষীর ভাণ্ডারের মত মানুষের হাতে নগদ তুলে দেওয়ার জনমুখী প্রকল্পে অর্থ যোগানোর বড় চ্যালেঞ্জ কে সামনে রেখেই বাজেট তৈরি করার জন্য লড়াই করছে রাজ্যের অর্থ দফতর। অর্থ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ বিভিন্ন প্রকল্পে নগদ টাকা দেওয়ার জন্য মাসে রাজ্যের খরচ হয় সাত হাজার কোটি টাকা। এই খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির উপর এবার বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি নতুন কিছু প্রকল্প নিয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে।
বাজেট পেশের আগে তার খসড়া পর্যালোচনায় সময় এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে দেড় কোটির বেশি মহিলা উপকৃত হয়েছেন। ফেব্রুয়ারিতে শুরু হতে চলা দুয়ারে সরকার শিবিরে আরও বেশি সংখ্যক মহিলা ওই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করতে পারেন বলে ধরে নিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের বাজেট বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও যে সমস্ত জনমুখী প্রকল্পের জন্য সরকারের সব থেকে বেশি টাকা খরচ হচ্ছে তার মধ্যে দুয়ারে রেশন, খাদ্যসাথী, কন্যাশ্রী, কৃষকবন্ধু প্রভৃতি রয়েছে। সব মিলিয়ে এই ধরনের প্রকল্পে বছরে ৮৪ হাজার কোটি টাকা খরচ হয় সরকারের। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন উন্নয়ন ও পরিকাঠামো প্রকল্পের জন্য খরচ। করোনা মোকাবিলার জন্য গত বাজেটের মতো এবারেও বাড়তি সংস্থান রাখতে হচ্ছে অর্থদফতরকে। মানুষের হাতে টাকার জোগান অব্যাহত রেখে অর্থনীতিকে সচল রাখা ও বাংলার আর্থসামাজিক পরিস্থিতির সামগ্রিক উন্নয়নই লক্ষ্য নবান্নের।