সুদীপ দাস, ২২ জানুয়ারি:- ঠাকুমা এসেছেন আনন্দ করে, ঠাকুমা যাবেনও আনন্দ করে। তাই ডিজে বাজিয়েই ঠাকুমার মরদেহ পৌঁছলো স্থানীয় শ্মশানঘাটে। কাঠের চিতায় ঠাকুমার দেহ ভস্ম হওয়ার সময়ও ডিজের তালে কোমর দোলালেন এলাকার সকলে। মৃত ঠাকুমার নাম সাবিত্রী মন্ডল (১০৭)। বাড়ি ব্যান্ডেল বালি মোড় কালিতলা এলাকায়। দরিদ্র পরিবারের সাবিত্রীদেবীর স্বামী মারা গেছেন কয়েক দশক আগে। তিন ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে সাবিত্রীদেবীর। সকলেই বিবাহিত। সাবিত্রীদেবীর শতবর্ষ পূরণের সময় ঘটা করে জন্মদিবস পালন করেছিলো স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই থেকে প্রতি বছর ২রা জানুয়ারী সকলের ঠাকুমা সাবিত্রীদেবীর জন্মদিবস পালন করে স্থানীয়রা।
শতায়ু ঠাকুমা খুব ভাগ্যবান, নাতির ঘরের পুঁতি দেখার সৌভাগ্য হয়েছে তাঁর। তাই এলাকাবাসীরাই ঠাকুমাকে বলেছিলো তোমার জন্মদিন পালনের মত মৃত্যুদিনও আনন্দ সহকারে পালন করবো। শনিবার দুপুরে বাড়িতেই বার্ধক্যজনিত কারনে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন সাবিত্রীদেবী। এরপর এলাকাবাসীরাই ঠাকুমার শেষযাত্রার তোরজোর শুরু করেন। সেইমত ভাড়া করা হয় বক্স। এরপর বক্স বাজিয়ে নাচতে নাচতে কালিতলা শ্মশান ঘাটে উপস্থিত হয় এলাকাবাসী সহ সাবিত্রীদেবীর আত্মীয় স্বজনরা। কাঠের চিতায় যখন আগুন জ্বলছে তখনও ডিজের তালে কোমর দোলায় সকলে!