এই মুহূর্তে জেলা

সিসিটিভি ভেঙে দুঃসাহসিক চুরি সোনার দোকানে।


গোঘাট, ১৩ জানুয়ারি:- রীতিমতো প্রশিক্ষণ নিয়ে চুরি চলছে হুগলি জেলার গোঘাট জুড়ে। চুরি করার পদ্ধতি ও ধরন দেখে এমনই অভিমত বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের। একেবারে সিনেমার কায়দায় টাকা, সোনা রুপো নিয়ে সিসিটিভি ভেঙে হার্ডডিস্ক নিয়ে চম্পট দুষ্কৃতিদের। দিন দিন ধরে গোঘাটে চুরি বাড়ছে কেন? উঠছে প্রশ্ন। লাগাতার চুরির ঘটনা ঘটছে গোঘাটে। রীতিমতো আতঙ্কিত এলাকার মানুষ। এবার দুঃসাহসিক চুরি সোনার দোকানে। পাশাপাশি একই রাতে পর পর দুটি ট্রান্সফরমারের তামার তার চুরি দুষ্কৃতিদের। জানা গেছে, গোঘাট থানার কামারপুকুর চটি এলাকায় সোনার দোকান থেকে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে স্কলারশিপের গেট কেটে প্রায় ১২ থেকে ১৪ টি তালা ভেঙে চুরি করে দুষ্কৃতিরা। প্রায় তিন কেজি সোনা সহ নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দুষ্কৃতিদের।

যার আনুমানিক মুল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা। পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজের যাবতীয় মেশিনপত্র চোরেরা নিয়ে চলে যায়। এই ঘটনায় হতবাক এলাকার মানুষ। চোরবাজীদের আধুনিক পদ্ধতিতে চুরির ধরন দেখে এলাকার মানুষ হতভম্ব। কিভাবে এই চুরি হলো, সেই বিষয়ে সঠিক তদন্তের দাবী তুলেছে তারা। যদিও তদন্তে নেমেছে গোঘাট থানার পুলিশ। অপরদিকে গোঘাটের কুলকি গ্রামে একই রাতে দুটি ট্রান্সফরমারে চুরি হয়। এদিন সকাল থেকে এলাকায় বিদুৎ সংযোগ না থাকায় পানীয় জলের সংকট দেখা যায়। এলাকার মানুষকে অন্য জায়গা থেকে ও দোকান থেকে জল কিনে খেতে হয়। নাজে হাল অবস্থা ওই এলাকার মানুষের। প্রসঙ্গগত উল্লেখ্য গোঘাটে দুটি ব্লকজুড়ে গত কয়েকদিনে প্রায় ১৫টি বিদুৎতের ট্রান্সফরমারে চুরি হয়। এই গোঘাট থানায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগও করা হয়। কিন্তু এখনও পযন্ত চুরির কিনারা হয়নি। কিন্তু একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটছে অথচ পুলিশ প্রশাসন কি করছে সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় মানুষ। এখন দেখার চুরি বন্ধ করতে পুলিশ প্রশাসন কি ব্যবস্থা নেয়।