জেলা এই মুহূর্তে

পাঁচ বছরে উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান হিসাবে রিপোর্ট কার্ড মানুষের হাতে তুলে দেবে রিষড়া পুরসভা।

তরুণ মুখোপাধ্যায়, ৩১ ডিসেম্বর:- বিগত পাঁচ বছরে রিষড়া পৌরসভার কি ধরনের উন্নয়নমূলক কাজকর্ম করেছে তারই রিপোর্ট কার্ড রিষড়াবাসীর হাতে তুলে দিতে চলেছে বর্তমান পুরবোর্ড। এ বিষয়ে বলতে গিয়ে রিষরা পৌরসভার মুখ্য প্রশাসক বিজয় সাগর মিশ্র জানান মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এবং অনুপ্রেরণায় সারা বাংলা জুড়ে যে উন্নয়নমূলক কাজের জোয়ার বইছে তা থেকে বাদ যায়নি আমাদের গর্বের রিষড়া পৌরসভা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা বিগত পাঁচ বছরে এই শহরের জনকল্যাণে যে যে কাজ করেছে তারই হিসাব নিকাশ আমরা রিপোর্ট কার্ডের মাধ্যমে তুলে দিচ্ছি রিষড়ার নাগরিকদের। পানীয় জল, স্বাস্থ্য, রাস্তাঘাট, শিক্ষা, বিদ্যুৎ, সাফাই কর্মসূচি এই সমস্ত বিষয়গুলির উপর আমরা গত পাঁচ বছরে জোর দিয়েছিলাম। ইতিমধ্যে পুরসভা নতুন দুটি পানীয় জলের রিজার্ভার তৈরি করছে। এর ফলে এই পুরসভার পরিশুদ্ধ পানীয় জল নাগরিকদের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে। নুতন নুতন রাস্তা নির্মাণের ওপর যথেষ্ট সচেষ্ট জোর দেওয়া হয়েছে।

প্রত্যেক ওয়ার্ডে কংক্রিটের রাস্তা তৈরি হয়েছে। বড় রাস্তা থেকে ভিতরের গলি অবধি প্রত্যেকটি এলাকায় আলো ঝলমল করছে। ভেপার ল্যাম্প দিয়ে মুড়ে দেয়া হয়েছে শহরটি। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে পুরসভা প্রশংসনীয় কাজ করেছে। গত দু’বছর যে করোনার মহামারী গ্রাস করেছিল সমস্ত সমাজকে তাতে এই পুরসভার পক্ষ থেকে প্রত্যেকটি মানুষের সুস্বাস্থ্যের দিকে নজর দেয়া হয়েছিল। আমাদের জেলার মধ্যে রিষড়া পৌরসভা করোনার টিকাকরনের ক্ষেত্রে সব থেকে এগিয়ে আছে। এছাড়াও পৌরসভার পুরোনো বাম আমলের জরাজীর্ণ মাতৃসদনটি নূতনভাবে সেজে উঠেছে। জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে হাসপাতালটির স্বাস্থ্য পরিষেবার কাজ শুরু করছে। প্রথমে অত্যাধুনিক সুবিধা যুক্ত এই হাসপাতালের আউটডোরটি চালু হচ্ছে তার সঙ্গে চালু হবে এখানকার প্যাথলজিক্যাল ল্যাব এর পরিষেবা, এবং এ মাসেই শেষ সপ্তাহ থেকে ৬০ বেডের হাসপাতাল টি পুরোপুরি ভাবে চালু হয়ে যাবে। ফলে এখানকার মানুষরা স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে আরো বেশি সুবিধা পাবেন। এ ছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে থাকা এককালের এই শহরের গর্ব রিষরা সেবা সদন নতুনভাবে দ্বারোদ্ঘাটন হতে চলেছে খুব শীঘ্রই।

এখানকার পরিষেবা পাবেন মানুষজন। এর সঙ্গে সঙ্গে রিষড়ায় রাস্তাঘাট পয় প্রণালী এবং নর্দমা পরিষ্কার রাখার ব্যাপারে আমাদের আমাদের সাফাই কর্মীরা নিরন্তর প্রয়াস করে চলেছেন। ফলে এই শহর আজ একটা স্বপ্নের শহরে পরিণত হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প দুয়ারে সরকার অত্যন্ত সুচারুভাবে আমরা অনুষ্ঠিত করেছি, প্রত্যেকটি মা-বোনেরা মুখ্যমন্ত্রী স্বপ্নের লক্ষী ভান্ডার এর সুবিধা পাচ্ছেন, এছাড়াও দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড বার্ধক্য ভাতা বিধবা ভাতা সহ সমস্ত প্রকল্প গুলির কাজ চলছে। আমাদের এই পুরসভা পরিচালিত বাংলা হিন্দি এবং উর্দু মিডিয়াম স্কুল যে স্কুল গুলি আছে সেগুলো পঠন-পাঠন অত্যন্ত ভালোভাবে হচ্ছে এবং এই মহামারী কালের এখানকার শিক্ষক-শিক্ষিকারা ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনার ব্যাপারটা দেখছেন। প্রশাসক বিজয় বাবু জানান ঝাঁ চকচকে রাস্তাঘাট ঝলমলে আলো প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিগত পাঁচ বছরের আজ আমরা পৌঁছে দিয়েছি রিষড়ায় সম্মানীয় নাগরিকদের বাড়ি বাড়ি। আমাদের শপথ আগামী দিন গুলিতেও আমাদের উন্নয়ন মূলক পরিষেবা জারি থাকবে।