এই মুহূর্তে জেলা

১২জয়ী প্রার্থী বাদ, স্থায়ী বোর্ডের লক্ষ্যে নতুনে ভরসা করে ব্যালেন্সের চেষ্টা তৃণমূলের!

সুদীপ দাস, ৩১ ডিসেম্বর:- বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার পর চন্দননগর পুরনিগম নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষনা করেছে তৃণমূল। ২০১৫ সালে চন্দননগর পুরনিগমের ৩৩টি আসনের মধ্যে ২২টিতে জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। পরে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে ৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা মুন্না ফিরে আসায় তৃণমূলের মোট আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ২৩। বাকি ১০টির মধ্যে বামেরা ৭, বিজেপি ১ এবং ২ জন নির্দল প্রার্থী। ২০১৫ সালে নির্বাচনের পর থেকেই গোষ্ঠীকোম্দলে দ্দিধাবিভক্ত হয়ে পরে তৃণমূল। সেসময় তৃণমূলের হুগলী জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত একাধিকবার চন্দননগরে দলীয় কর্মীদের সাথে বসে মীমাংসার প্রচেষ্টা চালান। কিন্তু একাধিকবার বোর্ড ভেঙে যাওয়া তপনবাবুর সেই প্রচেষ্টা বৃথা প্রমান করে। একটা সময় চন্দননগরের বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন ঘনিষ্ট এবং তার বিপরীত গোষ্ঠীর মধ্যে সমস্যা মেটাতে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকেও হস্তক্ষেপ করতে হয়। কিন্তু বিগত ৫বছরে জেলার একমাত্র পুরনিগম একটানা স্থায়ী বোর্ড পায়নি। তাই এবছর পুরনিগম নির্বাচনে চন্দননগরের শাসক দলের প্রার্থী তালিকার দিকে নজর ছিলো রাজনৈতিক মহলের।

শাসক দলও এবারের টিকিট প্রদানে বেশ কাঁটছাট করেছে। ২০১৫-র সাথে ২০২১ এর প্রার্থী তালিকার তুলনা করলে দেখা যাবে গতবারের ২২ জন জয়ী পার্থীদের মধ্যে ১২ জনকেই টিকিট দেয়নি শাসক দল। পাশাপাশি ১১ টি পরাজিত আসনেও সিংহভাগ নতুন মুখ। উল্লেখযোগ্যভাবে গতবার ৮নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী প্রার্থী শুভেন্দু মুখার্জীকে ২১ নম্বর ওয়ার্ডের টিকিট দেওয়া হয়েছে। আবার চন্দননগরের প্রাক্তন বিধায়ক অশোক সাউয়ের ছেলে শুভজিৎ সাউকে ১৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তুলে ১৩ নম্বরে নিয়ে আসা হয়েছে। বিধায়কের ঘনিষ্ট বলে পরিচিত গতবার নির্দলের টিকিটে জেতা মুন্না আগরওয়ালকে তার জেতা ৩১ নম্বর ওয়ার্ডেই এবার তৃণমূলের টিকিটে লড়বেন। পাশাপাশি বিধায়কের বিরোধী গোষ্ঠী হিসাবে পরিচিত মোহিত নন্দী, স্নিগ্ধা রায়, শুভেন্দু মূখার্জীরাও টিকিট পেয়েছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর এন্ড কোম্পানীর সাথে আলোচনাপূর্বক তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব এবার চন্দননগরে স্থায়ী বোর্ড গঠনের লক্ষ্যে টিকিট বিলিতে একটা ব্যালান্স করার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।