সুদীপ দাস, ৩০ ডিসেম্বর:- একজন নাবালিকা, আর একজন সাবালিকা। নাবালিকার ঘর থাকলেও অভাবের তাড়নায় বসতে হয়েছে পথে। দু’জনে মিলে বর্ধমান স্টেশনে ভিক্ষা করেই পেট চালাতো। কিন্তু সেখানেও শেষ রক্ষা হয়নি। জনৈক লিলু নামে এক ব্যাক্তির ফাঁদে পরে দুজনেই। এরপর কাজের প্রলোভন দেখিয়ে দুজনকেই বিহারে বিক্রি করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেখানে তাঁদেরকে টানা প্রায় ৩বছর যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ। অবশেষে দুই বন্ধু মিলে পালিয়ে চলে এলো চুঁচুড়ায়। এখানে এক পরিচিত আন্টির কাছে পৌঁছলেও মেলেনি সহযোগীতা।
অবশেষে চুঁচুড়া আদালতের ল-ক্লার্ক পার্থ নিয়োগী এবং আইনজীবি মলয় মজুমদারের সহযোগীতায় দুজনকে চুঁচুড়া থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরের এই ঘটনায় চুঁচুড়া আদালত চত্ত্বরে রিতীমত উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ঘটনাপ্রসঙ্গে জানা যায় বিহার থেকে পালিয়ে আসা নাবালিকার বয়স ১৬ এবং অন্যজনের ২১। দুজনেই বর্ধমান স্টেশনে ভিক্ষাবৃত্তি করে পেট চালাতো। সেখানেই তাঁদের পরিচয় হয় লিলু নামের এক যুবকের সাথে। অভিযোগ লিলু তাঁদেরকে কাজের নামে বিহারে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দেয়। দুজনেই জানায় সেখানে বিভিন্ন অনুষ্ঠান বাড়িতে তাঁদেরকে উত্তেজক নাচ করতে হতো। পাশাপাশি প্রতিদিনই তাঁদের উপর শারিরীক অত্যাচার চলতো বলে অভিযোগ।
অত্যাচার আর সহ্য করতে না পেরে অবশেষে দুজনেই বিহার থেকে পালিয়ে চুঁচুড়ায় চলে আসে। এখানে এক পরিচিতের বাড়িতে উঠলেও সেভাবে সহযোগীতা মেলেনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে দুজনকে চুঁচুড়া আদালত চত্ত্বরে ইতস্ততঃ ঘোরাঘুড়ি করতে দেখে সন্দেহ হয় আদালেতের এক ল-ক্লার্ক পার্থ নিয়োগীর। পার্থবাবুর কাছ থেকে খবর পান আদালের আইনজীবি তথা মানবাধিকার কর্মী মলয় মজুমদার। তখনও লিলু সহ তাঁর দলবল নাবালিকাকে ফোন করে রিতীমত ধমক দিচ্ছে। পুরো বিষয়টি জানতে পেরে মলয় মজুমদার দুজনকেই চুঁচুড়া থানার হাতে তুলে দিয়ে এ বিষয়টি তদন্তের আবেদন জানান।