এই মুহূর্তে কলকাতা

গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে আগামীকাল সাগরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।

কলকাতা, ২৭ ডিসেম্বর:- গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে আজ বুধবার সাগরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে মঙ্গলবার নবান্নে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে মেলা আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে প্রস্তুতি নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন তিনি।উপস্থিত ছিলেন রেল, কলকাতা বন্দরের প্রতিনিধিরাও। মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট ঘোষনা গঙ্গাসাগর মেলাকে একশ শতাংশ পরিবেশ বান্ধব করার পাশাপাশি করতে হবে সম্পূর্ন কভিড মুক্ত। এই মর্মে তিনি বেশ কিছু পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসনকে।যার মধ্যে অন্যতম কলকাতার বাবুঘাট লাগোয়া গঙ্গাসাগর ক্যাম্পেই আগত যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা। যাতে মেলাকে কেন্দ্র করে সংক্রমনের সম্ভাবনা অঙ্কুরেই বিনাশ করা যায়। এছাড়াও বেশ কিছু গুরুত্বপূ্ণ পদক্ষেপ ও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

একনজরে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য
গঙ্গাসাগর মেলায় আগত যাত্রীদের একটাই টিকিট রাখার চিন্তাভাবনা

১০টি অস্থায়ী দমকল কেন্দ্র প্রস্তুত করা হচ্ছে।

ইকো ফ্রেন্ডলি ও প্লাস্টিক মুক্ত গঙ্গাসাগর মেলা হবে এবার

মেলা প্রাঙ্গন পরিষ্কার রাখার জন্য ১০ হাজারের বেশি শৌচালয়।

কলকাতাতেই পূণ্যার্থীদের আরটিপিসিআর টেস্ট করার পরামর্শ।

৬০০ বেডের করোনা হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।

গঙ্গাসাগর মেলার জন্য থাকছে অতিরিক্ত ২২৫০ টি সরকারি বাস।

গঙ্গাসাগর মেলায় ৬ দিনে অতিরিক্ত ৭০টি ট্রেন চলবে।

১১টি কোয়ারেন্টিন সেন্টার তৈরি রাখা হচ্ছে।

কোভিড বিধি মেনে মেলার আয়োজন করতে হবে।

শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে চলার চেষ্টা করতে হবে।

হিন্দি ভাষায় বেশি হোর্ডিং থাকবে, সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লাগানো হবে বাংলা হোর্ডিং

সুব্রত দা খুব ভালোভাবে গঙ্গাসাগর মেলার কাজটা করত, এবার পুলক তোমার কাঁধে দায়িত্ব

গঙ্গাসাগর মেলা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য দায়িত্ব থাকছে ফিরহাদ হাকিম, অরুপ বিশ্বাস, মন্টুরাম পাখিরা, শুভাশিষ চক্রবর্তী, বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা প্রমুখের ওপর

পৃথিবীর ইতিহাসে এমন মেলা বিরল যেখানে মানুষ এতটা জল পেরিয়ে মেলা প্রাঙ্গনে যায়।

সাগরে যাওয়ার পথ ড্রেজিং করা হয়েছে। এর ফলে দিনে ১৮ ঘণ্টা যাত্রী চলাচল করতে পারে।

ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য এবার ৫১ কিলোমিটার ব্য়ারিকেড দেওয়া হচ্ছে। বসানো হচ্ছে ১০৫০টি সিসিটিভি বসানো হচ্ছে। সঙ্গে থাকছে ২০টি নজরদারি ড্রোন, জিপিএস গাইডেড মনিটারিং, ইন্ট্রিগেটেড কন্ট্রোল রুম থাকছে। জানালেন মমতা।

অনলাইনে থাকছে ই-দর্শন। এছাড়াও অনলাইনে অর্ডার করলে দেশের যে কোনও প্রান্তে গঙ্গাসাগরের পবিত্র জল ও প্রসাদ পৌঁছে দেওয়া হবে।

গঙ্গাসাগর মেলায় দুর্ঘটনা রুখতে ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হচ্ছে

নজরদারি চালাতে মেলায় থাকছে ১০৫০ সিসিটিভি

অগ্নিকাণ্ড রুখতে থাকছে ২৫টি দমকল ইঞ্জিন।

মানুষকে সচেতন করতে ১০০০টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ৬ হাজার ৫০০ জন ভলান্টিয়ার্স থাকবেন মেলায়

রাখতে হবে অতিরিক্ত বাস ও ট্রেন পরিষেবা।