এই মুহূর্তে কলকাতা

নতুন বছর থেকে বস্ত্রশিল্পে জিএসটি পাঁচ শতাংশ থেকে বেড়ে বারো শতাংশ হচ্ছে।

কলকাতা, ২৪ ডিসেম্বর:- আগামী ১ জানুয়ারি থেকে বস্ত্রশিল্পে জিএসটির পরিমাণ ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে হচ্ছে ১২ শতাংশ। এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জিএসটি কাউন্সিল। মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান মুখ্য অর্থ উপদেষ্টার অমিত মিত্র, অভিযোগ করেছেন এর ফলে সারা দেশ জুড়েই বস্ত্রশিল্প বিপুল ক্ষতির মুখে পড়বে। শুক্রবার ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত খুবই বিপজ্জনক। ৭ শতাংশ জিএসটি বেড়ে গেলে দেশ জুড়ে ১ লক্ষ ছোট কাপড়ের কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। কাজ হারাবেন ১৫ লক্ষ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে অমিত মিত্রের দাবি, অবিলম্বে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক ডাকা হোক এবং এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হোক। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের প্রতি তাঁর অনুরোধ, এই সিদ্ধান্তটি অন্তত পুনর্বিবেচনা করা হোক।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও আলোচনাই করা হয়নি। অথচ সাংবাদিক সম্মেলনে বস্ত্রশিল্পে জিএসটি বৃদ্ধির কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। এই একতরফা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যেই গুজরাটের সুরাট এবং পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছেন বস্ত্র ব্যবসায়ীরা। এ রাজ্যও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শুধুমাত্র মেটিয়াবুরুজেই বছরে ২০ হাজার কোটি টাকার জামাকাপড়ের ব্যবসা হয়। এছাড়াও ফুলিয়ায় ৭০ হাজার তাঁতশিল্পী রয়েছেন। বস্ত্রশিল্পে জিএসটি বাড়লে জামাকাপড়ের দাম ৫ থেকে ৬ শতাংশ বেড়ে যাবে। ফলে বিক্রির হারও কমে যাবে। অমিত মিত্র জানান, এমনিতেই বস্ত্রশিল্প খুব একটা লাভদায়ক শিল্প নয়। কিন্তু বহি মানুষ এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। জিএসটি বাড়লে, ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হবে।