এই মুহূর্তে কলকাতা

করোনাকালে পুরনির্বাচনে নাগরিক সুরক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে কমিশন।

কলকাতা, ১৩ ডিসেম্বর:- কলকাতায় পুরভোটের কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী রবিবার কলকাতা পুরসভার ১৪৪ টি ওয়ার্ডের নাগরিক সমাজ তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেবেন। যাঁদের মাধ্যমে আগামী ৫ বছর তাঁদের কাছে পৌঁছে যাবে যাবতীয় নাগরিক পরিষেবা। করোনাকালে পুর নির্বাচনে নাগরিক সুরক্ষা কে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রবিবার থেকে বিশেষ টিকাদান কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। চলবে ১৭ ই ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতিটি ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এই টিকাকরণ কর্মসূচি চলার কথা থাকলেও প্রথম দিন তা সম্ভব হয়নি। পরিবর্তে সরকারি হাসপাতালে টিকাকরণ হয়েছে বলে জানা গেছে। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গেছে, দুটি ডোজ মিলিয়ে এদিন টিকা নিয়েছেন ১১০০ জন। গত জনগণনা অনুযায়ী কলকাতায় ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে নাগরিকদের সংখ্যা ৪০ লক্ষ্। এরমধ্যে দুটি ডোজ পেয়েছেন ৩৬ লক্ষ ৬৩হাজার ৭৫৩জন।

আগেই জানানো হয়েছিল, প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করবে কমিশন। এবার বিধানসভা নির্বাচনের মতো পুরনির্বাচনেও বুথের বাইরে ভোটদাতাদের তাপমাত্রা মাপতে নিযক্ত থাকবে কর্মী। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডের প্রতিটি বুথেই ভোটদাতাদের জ্বর মাপা হবে। জ্বর বা অন্য কোনও লক্ষণ না থাকলেই ভোটগ্রহন কেন্দ্রে ঢোকার অনুমতি মিলবে। আর এর জন্য প্রায় ৫০০০ কর্মী নিয়োগ করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এদিকে কলকাতা পুরসভার নির্বাচন পর্বের আগে আইনশৃঙ্খলা সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার জন্য সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক। রাজ্যের সব পুরসভার একদিনে ভোট করা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি শেষ হলেও রায়দান নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কৌতুহল রয়েছে। এর পাশাপাশি ১৪৪ টি ওয়ার্ডের সবকটি বুথে সিসিটিভি বসানো নিয়ে আরো একটি মামলা হাইকোর্টে দায়ের করা হয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন অবশ্য আগেই জানিয়েছিল যে ২৫ শতাংশ বুথে সিসিটিভি ভিডিও রেকর্ডিং করা হবে।