এই মুহূর্তে জেলা

টেন্ডার জমা নিয়ে দুর্নীতির ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিক্ষোভ , শেষমেষ বাতিল হলো টেন্ডার।


হুগলি, ৯ ডিসেম্বর:- সেচ দপ্তরে টেন্ডার জমা নিয়ে বিরাট দুর্নীতির ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিরাট বিক্ষোভ। তার জেরেই অবশেষে সেচ দপ্তরের মহকুমা আধিকারিক ট্রেন্ডার বাতিল করতে বাধ্য হলেন। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমার সেচ দপ্তরে। টেন্ডার জমা দিতে আসা ব্যক্তিদের অভিযোগ অফিসের বড়োবাবু নিজেই টেন্ডার বক্সে টেন্ডার জমা করছেন। এমন কি নিদিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও জমা পড়ছে টেন্ডার বলে অভিযোগ। এই ঘটনা জানা জানি হতেই অফিসের মধ্যেই বিক্ষোভ দেখায় টেন্ডার জমা দিতে আসা ব্যক্তিরা। জানা গেছে, সকাল দশ থেকে দুপুর দুটো পযন্ত টেন্ডার জমা দেওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়।

কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় দুপুর দুটোর পরেও টেন্ডার জমা পরে। স্বয়ং অফিসের বড়োবাবু নাকি নিজেই টেন্ডার জমা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে একজন আধিকারিক কিভাবে নিজে টেন্ডার বক্সে টেন্ডার জমা দিতে পারে। পাশাপাশি সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কিভাবে টেন্ডার জমা পড়তে পারে। এই নিয়েই বিতর্কের সৃষ্টি হয়। যদিও এদিন আরামবাগ মহকুমা সেচ দপ্তরে আধিকারিক দিনবন্ধু ঘোষ অফিসে ছিলেন না। তিনি অফিসের কাজে অন্যত্র ব্যস্ত ছিলেন। টেন্ডার নিয়ে এই ঘটনা জানতে পেরেই তিনি তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেন এবং টেন্ডার বাতিল করেন। নতুন করে টেন্ডার করা হবে বলে জানিয়ে দেন। এই বিষয়ে আরামবাগ মহকুমা সেচ দপ্তরের আধিকারিক দিনবন্ধু ঘোষ জানান,

বিষয়টি জানার পরেই টেন্ডার বাতিল করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে হুগলি জেলা পরিষদের সেচ কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃনমুল নেতা মনোজ চক্রবর্তী জানান, সংবাদ মাধ্যমে দেখলাম। খুবই লজ্জা জনক ঘটনা। আমি উর্ধ্বতম কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন স্বচ্ছ ভাবে কাজ হবে। সব মিলিয়ে সরকারি দপ্তরে এই ধরনের কাজ যে একেবারে কাম্য নয় সেই বিষয়ে এলাকার মানুষ দাবী তুলেছে। যদিও এই সেচ দপ্তরের ওই অফিসারের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। সূত্রের খবর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই প্রশাসন তড়িঘড়ি বরোবাবুকে খানাকুলে বদলির সিদ্ধান্ত নেয়।।