এই মুহূর্তে জেলা

চন্ডীতলায় একই পরিবারের তিনজনকে খুনে অভিযুক্ত আত্মঘাতী !

চিরঞ্জিত ঘোষ, ৭ ডিসেম্বর:- চন্ডীতলার নৈটিতে একই পরিবারের তিনজনকে খুনে অভিযুক্তর মৃতদেহ উদ্ধার হল গোবরা স্টেশনের রেল লাইন থেকে। আজ সকাল সারে ছটা নাগাদ হাওড়া বর্ধমান কর্ড শাখার তিন নম্বর লাইনে শ্রীকান্ত ঘোষের দ্বিখণ্ডিত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। কামারকুন্ডু জিআরপি মৃতদেহ উদ্ধার করে। চন্ডীতলা থানার পুলিশ খবর পেয়ে মৃতের পরিবারকে দিয়ে দেহ শনাক্ত করায়। সম্পত্তি নিয়ে খুরতুতো দাদা সঞ্জয় ঘোষের সঙ্গে বিবাদ ছিল শ্রীকান্তদের। সঞ্জয়-শ্রীকান্তরা পাশাপাশি বাড়িতেই থাকতেন। দুই তুতো পরিবারের মধ্যে জায়গা-জমি নিয়ে বিবাদ ছিলো দীর্ঘদিনের। একাধিকবার স্থানীয় পঞ্চায়েতের হস্তক্ষেপেও সেই বিবাদ মেটেনি বলে স্থানীয়দের দাবী। সপ্তাহখানেক আগে শ্রীকান্ত একটি চপার কিনে নিয়ে আসে। এ-কদিন ধরে প্রায় রোজই সেই চপার বাড়ির কাছে ধার দিতো শ্রীকান্ত। কেউ দেখে নিলে বলতো যা ধার হয়েছে, মানুষ মারা যাবে।

অভিযোগ সোমবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ সঞ্জয় মুড়ি নিয়ে ঘড়ের ফেরার সময়ই সদর দরজার সামনেই সঞ্জয়কে চপার দিয়ে আঘাত করে শ্রীকান্ত। কোনরকমে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকতেই বাড়ির উঠোনে সঞ্জয়ের উপর ঝাঁপিয়ে পরে শ্রীকান্ত। শ্রীকান্তের চপারের আঘাতে সেখানেই লুটিয়ে পরে সঞ্জয়। চিৎকার শুনে বাড়ির বাইরে বেড়িয়ে আসেন সঞ্জয়ের স্ত্রী মিতালী ও মেয়ে শিল্পা। মিতালীর গলা লক্ষ্য করে চপার চালায় সঞ্জয়। মিতালীদেবীও স্বামীর পাশে লুটিয়ে পরেন। শিল্পা কোনক্রমে পালিয়ে সদর দরজা টপকাতেই শিল্পার গলায় চপারের কোপ দেয় সঞ্জয়। শিল্পাও সেখানে লুটিয়ে পরে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিনজনের। গতকাল সকাল সারে দশটা নাগাদ সঞ্জয় সহ তার স্ত্রী ও মেয়েকে শাবল দিয়ে মেরে চপার দিয়ে কুপিয়ে খুন করে পালিয়ে যায় শ্রীকান্ত। পুলিশ তার খোঁজে তল্লাসী চালাচ্ছিল। পুলিশের অনুমান আত্মঘাতী হয়েছে যুবক।