এই মুহূর্তে জেলা

বকেয়া বেতন ও একাধিক দাবীতে আরামবাগে আশা কর্মীদের পথ অবরোধ।

আরামবাগ, ৭ ডিসেম্বর:- বকেয়া বেতন ও একাধিক দাবীতে হুগলির আরামবাগ হসপিটাল মোড়ে আশা কর্মীদের পথ অবরোধ। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এদিন সকাল থেকেই আরামবাগ মহকুমা হসপিটাল চত্বরে আশা কর্মীদের জোড়ো হতে দেখা যায়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে আরামবাগ মহকুমার ছয়টি ব্লকের আশা কর্মীরা হসপিটালে চলে আসেন। তারপরই শুরু হয় শ্লোগান এবং বিক্ষোভ। এরপর আশা কর্মী সংগঠনের নেতৃত্ব অবস্থান বিক্ষোভ করে আরামবাগ মহকুমা হসপিটালের গেটের বাইরে। তারপর তারা মিছিল করে আরামবাগ হসপিটাল মোড়ে পথ অবরোধ করে।অবরোধের জেড়ে সারি সারি ভাবে যানবাহন থেমে যায়। যানজটের শিকার হয় সাধারণ মানুষ। বকেয়া বেতন ও চাকুরির স্থায়ীকরনের দাবীতে পথঅবোরধ চলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আরামবাগ থানার পুলিশ। এই বিষয়ে হুগলি জেলা আশা কর্মীর সহসভাপতি মিলি ভট্টাচার্য জানান,

আমাদের বকেয়া বেতন দেওয়া হয়নি।দীর্ঘদিন ধরে আমরা করোনা পরিস্থিতিতে কাজ করছি। প্রত্যেক মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়েছে এই আশা কর্মীদের জন্য।সরকার ভ্যাকসিনের টার্গেট পুরন করেছে বলে বড়ো হেডিং হচ্ছে। করোনায় কাজ করার জন্য মাত্র ৭৫ টাকা উৎসাহ ভাতা সেটাও আমরা পায়নি। মাঝখান থেকে কারা খেয়ে নিচ্ছে। জুলাই থেকে বকেয়া বেতন পায়নি। এই অন্যায় আমাদের সঙ্গে কেন। এই প্রশ্ন তোলেন তিনি। অন্যদিকে আশা কর্মী সুফিয়া বেগম বলেন, আমাদের টুপি পড়িয়ে বোকা বানিয়ে কাজ করিয়ে নিচ্ছে। অথচ বেতন দিচ্ছে না।পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে ওঠে। এরপর আরামবাগ থানার আইসি বরুন ঘোষ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। আশা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। অবশেষে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে পথ অবরোধ উঠে যায়। সব মিলিয়ে আশা কর্মীদের দাবী যদি বকেয়া বেতন ও তাদের দাবী না মানা হয় তাহলে তারা কর্ম বিরতির ও আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে। এখন দেখার স্বাস্থ্য দপ্তর আশা কর্মীদের স্বার্থে কি পদক্ষেপ নেয়।