সুদীপ দাস, ২৮ নভেম্বর:- কথায় ও কাজে তৃণমূলীয়ানা। কিন্তু নাম ভিন্ন। সেই সমস্ত শ্রমিক সংগঠনকে আইএনটিটিইউ (ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস)-র ছাতার তলায় আসতে হবে। রবিবার হুগলী-শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়নের কর্মী সম্মেলনে এসে একথাই বললেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন চুঁচুড়ার রবীন্দ্রভাবনে এই কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ঋতব্রতর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না, বিধায়কদের মধ্যে তপন দাশগুপ্ত, অসিত মজুমদার, অসীমা পাত্র,অরিন্দম গুঁইন, তৃণমূলের জেলা সভাপতি স্নেহাশীষ চক্রবর্তী, শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি মনোজ চক্রবর্তী সহ তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বরা। সংগঠনের এই প্রথম জেলা কর্মী সম্মেলনে হাজির হয়ে রাজ্য সভাপতি বলেন আগামী দিন ২০-র মধ্যেই এই জেলায় শ্রমিক সংগঠনের কমিটি গঠন করে দেওয়া হবে।
নতুন রূপে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনকে সাজিয়ে তোলা হবে। এ প্রসঙ্গে ঋতব্রত বলেন সম্প্রতি সমগ্র রাজ্যে শ্রমিক সংগঠনের জন্য ৩৪ভাগে বিভক্ত করে সাংগঠনিক জেলা করা হয়েছে। হুগলীকে দুটি জেলায় ভাগ করা হয়েছে। এই ৩৪জনের মধ্যে ৩১জনই নতুন মুখ। এদিন রবীন্দ্রভবনে দাঁড়িয়ে ঋতব্রত সরকারী তথ্য তুলে বলেন এ রাজ্যে ১০০ জন শ্রমিকদের মধ্যে ৯৩জনই অসংগঠিত। মুখ্যমন্ত্রী সংগঠিত ও অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য বহু প্রকল্প করেছেন। সেই সমস্ত প্রকল্পের আওতায় অনেকে এলেও বহু অসংগঠিত শ্রমিক কিংবা তাঁদের পরিবার সেই সুবিধা পায়নি। নতুন কমিটি গঠনের পর সকল শ্রমিক পরিবারকে সরকারী প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এদিন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন আলাদা করে কোন তৃণমূল পন্থী শ্রমিক সংগঠন থাকবে না। সমস্ত তৃণমূলপন্থী শ্রমিক সংগঠনকেই আইএনটিটিইউসির ছাতার তলায় আসতে হবে। শ্রমিক সংগঠনের নামে টাকা তোলার বিরুদ্ধে এদিন সরব হন দুই বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত ও অসিত মজুমদার।