এই মুহূর্তে জেলা

তৃণমূলের নেতা খুনে এলাকায় উত্তেজনা। পুলিশ পিকেট ঘটনাস্থলে।

হাওড়া, ২৩ নভেম্বর:- হাওড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের সম্পাদক ওয়াজুল খানকে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করল দুষ্কৃতীরা। সোমবার রাতে হাওড়ার নাজিরগঞ্জ থানা এলাকার লিচুবাগানে ওই ঘটনা ঘটে। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নারায়ণা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে মৃত ঘোষণা করা হয়। এদিন রাতে তিনি যখন লিচুবাগান এলাকায় বাড়ির সামনে বসেছিলেন সেই সময় দুষ্কৃতীরা গুলি করে চম্পট দেয়। কয়েকজনকে পুলিশ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। মৃতের ভাই গুড্ডু খান বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। গুড্ডুর স্ত্রী নাসরিন খাতুন হাওড়া পুরসভার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর ছিলেন। তিনি পরে মেয়র পারিষদ সদস্য হন। ৪৫ নং ওয়ার্ডে দক্ষ সংগঠক ছিলেন ওয়াজুল। এই ঘটনায় পুলিশ রাতেই তিনজনকে আটক করেছ। পরে আরও ২ জন আটক হন। উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। এলাকায় মোতায়ন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। তৃণমূল এই ঘটনায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে মৃতের ভাই মাসুদ আলম খান জানান, ছোট দাদা ওয়াজুল প্রতিদিন নতুন বাড়িতে এসে এলাকার মানুষদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতেন। সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সেখানে থাকতেন।

তারপর বাড়ি ফিরতেন। সোমবার রাতে বাড়ি ফেরার সময় রাস্তায় প্রায় ৫-৬জন দুষ্কৃতী অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতে হামলা করে তাঁকে। দুষ্কৃতিরা রাস্তায় অপেক্ষা করছিল। ওয়াজুলের মাথায় গুলি করে দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় রাজনৈতিক কারণ কিছুটা আছে বলে মাসুদ আলম জানান। তিনি বলেন, পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। তাঁর দাবি যারা এই কাজ করেছে তারা এলাকার তোলাবাজ। এলাকায় তাঁর দাদা তোলাবাজি পছন্দ করতেন না। তার জন্যই এলাকায় তোলাবাজি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অনুমান সেই কারনেই এই গুলিকান্ড। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করে। বাকিরা পালিয়ে গিয়েছে। এদিকে, এই ঘটনা প্রসঙ্গে হাওড়া জেলা সদর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ জানান, গুলিবিদ্ধ ওয়াজুল খান তৃণমূলের জেলা সংখ্যালঘু সেলের সম্পাদক ছিলেন। তিনি দলের লড়াকু নেতা ছিলেন। তাঁর অভিযোগ বিজেপি চক্রান্ত করে এই নেতাকে সরিয়ে দিয়ে ওয়ার্ড দখল করার চেষ্টা করছে। এই ঘটনা বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই ঘটিয়েছে বলে তাঁর অনুমান। গুলিবিদ্ধ ওয়াজুল এলাকার সক্রিয় শক্তিশালী সংগঠক সংখ্যালঘু সেলের সম্পাদক ছিলেন। উনি দলের একটা স্তম্ভ ছিলেন। উনিই এলাকার সংখ্যালঘুদের একত্রিত করে দলকে শক্তিশালী করেছিলেন। সেই শক্তিশালী সংগঠককে হারাতে হলো এদিন। ওয়াজুলের মৃত্যুতে এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।