কলকাতা, ২২ নভেম্বর:- শাসক তৃণমূল কংগ্রেস বাদে রাজ্যের সব বিরোধী রাজনৈতিক দল কলকাতা ও হাওড়ার সঙ্গে সঙ্গে সব মেয়াদ ফুরানো পুরসভায় ভোট একই সঙ্গে করানোর দাবি জানালো। এছাড়া পুর ভোটের মুখে হাওড়া কর্পোরেশন থেকে বালি পুরসভাকে পৃথক করার সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তারা। কলকাতা ও হাওড়া পুরসভার ভোটের প্রস্তুতিতে সোমবার সর্বদল বৈঠক ডেকেছিল নির্বাচন কমিশন। সেখানে বিজেপি সহ বিরোধীদের তরফে একযোগে রাজ্যের মেয়াদ ফুরানো সব পুরসভায় ভোট করানোর দাবি তোলা হয়। বিজেপির পক্ষে সাংসদ অর্জুন সিং বলেন সংরক্ষণ তালিকা প্রস্তুত করতে হলে কম করে ৭৫ দিন প্রয়োজন। রাজ্য সরকার পুর ভোটের যে দিন ক্ষণ স্থির করেছে সে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র হাওড়ার নির্বাচন প্রস্তাবিত তারিখে কি ভাবে হবে? একই সুরে বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে সিপিএমের রবীন্ দেব বলেন যে করোনার জন্য পুরসভার নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি বলে রাজ্য সরকার যে অজুহাত দেখিয়েছ তা ঠিক নয়। কারণ করোনার সংক্রমণ এর আগে থেকেই অনেক পৌরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছিল। সেই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে, স্বাধীন সংস্থা হিসেবে কমিশন কোন জবাব দিতে পারেনি। এর থেকে প্রমাণ হয় যে রাজ্য নির্বাচন কমিশন তৃণমূল কংগ্রেসের উপর সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভরশীল।
আজকের বৈঠকে শান্তি শৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি তাপস রায় অবশ্য দাবি করেন, করোনা বিধি মেনে ভোট করানোর জন্যই ভাগে ভাগে পুরভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর পিছনে অন্য কোনও অভিসন্ধি নেই। কলকাতায় ৮৫ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ়ের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে। হাওড়ায় দ্বিতীয় ডোজ়ের টিকা পেয়েছেন ৫৫ শতাংশ মানুষ। তাই এই দুই পুরসভার ভোট প্রথম দফায় করতে চায় রাজ্য। এর পর আলোচনার ভিত্তিতে ধাপে ধাপে ভোট করবে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন। অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করতে রাজ্য সরকার বদ্ধপরিকর বলেও তিনি জানান। তাপস রায় ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন তৃণমূলের দেবাশীষ কুমার। এছাড়া বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিআইএম সহ বামফ্রন্টের বিভিন্ন শরিক দলের প্রতিনিধিরাও ছিলেন। বৈঠকে কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় প্রচার করতে হবে নিয়ম মেনে। সন্ধ্যে ৭টা থেকে সকাল ১০ টা পর্যন্ত মাইকে প্রচার করা যাবে না। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করা যাবে। প্রচার শেষ করতে হবে ভোট শুরুর ৭২ ঘণ্টা আগে। সকাল ৭ টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হবে।