এই মুহূর্তে জেলা

হাওড়ায় বিপুল বিনিয়োগ। বহু কর্মসংস্থান , প্রশাসনিক বৈঠকে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর।

হাওড়া, ১৮ নভেম্বর:- বৃহস্পতিবার দুপুরে হাওড়ার শরৎ সদনে প্রশাসনিক বৈঠকে এসে কাজের অগ্রগতিতে খুশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাওড়ায় আগামী দিনে ১০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ এবং ১লক্ষ ৫৬ হাজার কর্মসংস্থানের এদিন বড়ো ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় ব্যাডমিন্টন খেলার শাটলকক শিল্পের সমস্যা কাটাতে এলাকায় সরকারি উদ্যোগে হাঁস প্রতিপালনের কথা ঘোষণা করেন তিনি। হাওড়ায় ভূমি দপ্তরের কাজ ঢিমেতালে চলছে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। কোনা এক্সপ্রেসওয়ের যানজটের অভিযোগ করেন শিল্পপতিরা। সমস্যার মূলে কলকাতায় মালবাহী গাড়ি ঢোকার ক্ষেত্রে কলকাতা পুলিশের সময় বেঁধে দেওয়া। এদিন সেই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী সমস্যা কাটাতে সচিবদের মধ্যে আলোচনা করে বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ নিতে বলেন। ডুমুরজলায় খেলনগরীর পাশাপাশি সিএবি’র নতুন স্টেডিয়ামের বিষয়েও খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সভার প্রথমেই একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৎসজীবীদের জন্যে নতুন ক্রেডিট কার্ডের কথা ঘোষণা করেন।

পাশাপাশি নয়াচরে একটি ফিশিং হাব গড়ে তোলা ও তা ঘিরে ইকো টুরিজম সেন্টার গড়ে তোলার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলার নিরাপত্তার বিষয়েও এদিন খোঁজ করেন। গ্রামীণ হাওড়ায় ও শহরাঞ্চলে অস্ত্র পাচারসহ অন্যান্য সমাজবিরোধী কার্যকলাপ রূখতে নাকা চেকিং সহ পুলিশি ব্যবস্থার খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী বছরের শুরুতেই জানুয়ারী মাসের প্রথমেই দুই দফায় দুয়ারে সরকার প্রকল্প আবার শুরু করার কথাও এদিনের বৈঠকে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। হাওড়া শহরের নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল দশা নিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘ এই তিন রকমের মেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে হাওড়ার নিকাশি ব্যাবস্থাকে ঢেলে সাজাতে। এদিনের বৈঠকে জেলার বিভিন্ন ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকদের কাছে বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চান। এদিন বেলা ১২-২০ মিনিটে হাওড়ার শরৎ সদনে মুখ্যমন্ত্রী এসে পৌঁছান। এরপর প্রশাসনিক বৈঠক শুরু হয়। এদিনের বৈঠকে জেলার সব বিধায়ক ও দুই সাংসদ ছাড়াও প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।