এই মুহূর্তে জেলা

বিজেপিতে থেকেও তৃণমূলের মুখপত্রে বেসুরো প্রবীর ঘোষাল।

হুগলি, ১৭ নভেম্বর:- তৃনমূল মুখপত্রের সম্পাদকীয় কলমে বিজেপির প্রবীর ঘোষাল বেসুরো। বিজেপির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে তিনি নির্বাচনের সময় তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন “কেন বিজেপি করা যায় না” শীর্ষকে। সে বিষয়ে উত্তরপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল বলেন, বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়ানোর পর তার অভিজ্ঞতা ভয়ঙ্কর। বিজেপিতে কাজ করার থেকে টাকা টাকা চাওয়ার লোক বেশি। বিজেপি কোনো রাজনৈতিক দলই নয়। তাদের বিভিন্ন সংগঠন।সবাই নেতা। বিজেপি নরককুন্ডে পরিনত হয়েছে। এবিষয়ে আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রবীর ঘোষাল বলেন, নির্বাচনের পর তাকে কোনো দলীয় কর্মসূচীতে ডাকা হয়নি। তিনি মানসিক ভাবে বিজেপি নেই। এখনই তৃনমূল যাবেন কিনা সেটা জানেন না। তৃনমূল থেকে এমন কোনো প্রস্তাব নেই। পাশাপাশি প্রবীর ঘোষালের বক্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র প্রণয় রায় বলেন,

একটা নির্দিষ্ট আদর্শকে সামনে রেখে বিজেপি চলছে। অন্য দল বা অন্য জায়গা থেকে যারা আসে বিজেপির নীতি আদর্শ বুঝতে একটু সময় লাগে সেট হতে তাদের সময় লাগে। যারা সেটা যত তারাতারি বুঝে যান তারা এডজাস্ট করে নেন। যারা বুঝতে পারেন না তাদের হয়ত কোথাও অসুবিধা হয়। আমি জানিনা উনি কোন পর্যায়ে পরেন। আমরা সমাজের সমস্ত স্তরের মানুষকে নিয়ে চলার চেষ্টা করি। চন্দনা বাউড়িকে যেমন প্রার্থী করেছি প্রবীর ঘোষালকেও প্রার্থী করেছি। চন্দনা জিতে গেছে প্রবীর ঘোষাল জিততে পারেননি। এতে আমাদের নীতির কোনো পার্থক্য হবেনা। সামনের নির্বাচনেও সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে নেওয়ার চেস্টা করব। আমাদের কাছে এমন কোনো যন্ত্র নেই যে আমরা লোকের ব্রেনকে স্ক্যান করতে পারব। উনি একজন এই এলাকার এমএলএ ছিলেন। আমরা সেই হিসাবে করেছি। এখন উনি যদি বলেন দল নয় দল করা যায়না সেটা ওনার সমস্যা। প্রার্থীতো উনি হয়েছিলেন। প্রার্থীকে হলপনামা দিতে হয় সই করতে হয়। আজকে যদি এটা ওনার অনুভূতি হয় সেটা ওনার সমস্যা।