কলকাতা, ১০ নভেম্বর:- কলকাতা ও হাওড়ার পুর ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন আগামী শুক্রবার বৈঠক ডেকেছে। ওইদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস সহ অন্যান্য আধিকারিকরা কলকাতা উত্তর ও দক্ষিণ এবং হাওড়ার জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রস্তুতি বিস্তারিত আলোচনা হবে এই বৈঠকে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার বৈঠকে কলাকাতা উত্তর ও দক্ষিণের জেলা নির্বাচনী আধিকারিকেরা ছাড়াও, হাওড়ার জেলাশাসক ও দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলাশাসককে ডাকা হয়েছে।কলাকাতা পুরসভার সংযুক্ত এলাকার কিছুটা প্রশাসনিক ভাবে দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলাশাসকের অধীনে হওয়ায় তাঁকে ডাকা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে রাজ্য পুলিশ নিয়োগ করেই এই দুই পুরসভার নির্বাচন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬:৩০ পর্যন্ত ভোট করা হবে। কোভিড বিধি মেনে ভোট করার ওপর জোর দেওয়া হবে। রাখা হবে পর্যাপ্ত মাস্ক ও স্যানিটাইজার। সাধারণ পর্যবেক্ষকদের পাশাপাশি, মাইক্রো অবজারভার নিয়োগ করার কথাও ভাবছে কমিশন।প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর নিরাপত্তা সংক্রান্ত অন্য়ান্য পদক্ষেপ স্থির করা হবে। ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা ও হাওড়া পুরসভা নির্বাচন হতে চলেছে।
রাজ্যের এই প্রস্তাবে সায় দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ওই দুই পুরসভায় ভোট করতে চেয়ে গত মঙ্গলবার পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের সঙ্গে বৈঠকে বসে রাজ্য নির্বাচন কমিশন৷ সেই বৈঠকের পরই রাজ্যের দুটি পুরসভার ভোটের দিনক্ষণ স্থির করা হয়৷এদিন রাজ্যের প্রস্তাবে সায় দিয়ে ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা ও হাওড়ার পুরভোট করা হবে বলে পুর ও নগরন্নয়ন দপ্তর কে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এদিকে বালি পুরসভা হাওড়ার পুরনিগম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় ওই ১৬ টি ওয়ার্ডে আপাতত ভোট হচ্ছে না বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। কলকাতা পুরসভার ১৪৪ টি ওয়ার্ডে ভোট হলেও, হাওড়া পুরসভার সব কটি ওয়ার্ডে হবে না নির্বাচন। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে হাওড়ার মোট ৬৬ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫০টি ওয়ার্ডে ১৯ ডিসেম্বর পুর নির্বাচন হবে। বাকি ১৬ টি ওয়ার্ড নিয়ে আলাদা করে বালি পুরসভা গঠিত হবে। সেখানে কবে ভোট হবে তা পরে স্থির করা হবে। করোনা আবহে নির্ধারিত সময়ে পুরভোট করানো সম্ভব হয়নি৷ কলকাতা এবং বিধাননগরে শেষ পুর ভোট হয়েছিল ২০১৫ সালে৷ ২০২০ সালে বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়৷ বর্তমানে প্রশাসকমণ্ডলীর সাহায্যে পুরসভার কাজকর্ম চলছে৷