এই মুহূর্তে কলকাতা

বাজি পরিবেশবান্ধব কিনা এক মুহুর্তে বলে দেবে কিউআর কোড নিষিদ্ধ বাজি আটকাতে নতুন ফরমুলা রাজ্যের।

কলকাতা, ২৯ অক্টোবর:- কোভিড কালে এবছরও কালীপুজো, দীপাবলি, ছট পুজো এবং ইংরেজি বর্ষবরণে বাজি পোড়ানোর ওপর হরেক বিধি-নিষেধ জারি করেছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। পরিবেশবান্ধব ছাড়া যেকোনো ধরনের বাজির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি বাজি পোড়ানোর সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বাতাসে দূষণ কমাতে এরাজ্যে শুধুমাত্র গ্রীন ক্র্যাকার্স বা পরিবেশবান্ধব বাজি বিক্রি এবং পোড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।দীপাবলি উৎসবে রাত্রি আটটা থেকে দশটা শুধুমাত্র এই পরিবেশবান্ধব সবুজ বাজি পোড়ানো যাবে। এই পরিবেশবান্ধব বাজি কোনগুলি কিভাবে চিহ্নিত করা হবে তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয় বিভিন্ন মহলে। এবার যাতে সহজেই শিক্ষিত এবং নিষিদ্ধ বাজি চিহ্নিত করা যায় তার উপায় খুঁজে বার করল দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।এবার বাজিতে ব্যবহৃত উপাদান এবং বাজির প্যাকেটের গায়ে নির্দিষ্ট কিউআর কোড বসানো হবে। পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে,কী কী উপাদান দিয়ে বাজি তৈরি হল, সেই সব উপাদানের নাম বাজির প্যাকেটের গায়ে উল্লেখ করতে হবে বাজি প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে।

বাজির প্যাকেটের গায়ে থাকবে নির্দিষ্ট কিউআর কোড। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দিষ্ট অ্যাপ থেকে এই কিউআর কোড স্ক্যান করে বাজিতে ব্যবহৃত উপাদান সম্পর্কে জানতে পারবে পুলিশ প্রশাসন। উপাদানের গুণমান যথাযথ বজায় না থাকলে বাজি প্রস্তুতকারক সংস্থার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।রাজ্যে শব্দবাজি পুরোপুরি নিষিদ্ধ। শুধুমাত্র আলোর বাজিতে ছাড়পত্র দিয়েছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। তবে আলোর বাজিতেও বেরিয়াম, বেরিয়াম সল্ট এমনকি লেডের ব্যবহার করা যাবে না। এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট এবং ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল একমাত্র পরিবেশবান্ধব বাজির কথা বলেছে। তবে তাতেও বাজির উপাদানের ব্যবহারে বেশ কিছু বিধিনিষেধের কথা বলা হয়েছে। বাজির কারণে শ্বাসযন্ত্র সহ শরীরের বিভিন্ন সমস্যা আটকাতে এবং পরিবেশ দূষণ রোধে সুপ্রিম কোর্ট এবং ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ যথাযথ পালন হচ্ছে কি না তার উপর নজরদারি চালানো হবে। বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।