হাওড়া, ২৮ অক্টোবর:- নার্সিংহোম থেকে বাড়ি ফেরার পথে চিকিৎসকের গাড়িতে উঠে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তাঁর বাড়িতে ফোন করিয়ে ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাইল দুষ্কৃতিরা। অভিযোগ, মুক্তিপণ না পেয়ে দুষ্কৃতীরা ওই চিকিৎসককে গাড়ি থেকে নামিয়ে গুলি করতেও উদ্যত হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে দুষ্কৃতীদের ধরেছে পুলিশ। এই অপহরণ-কান্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি ২ অভিযুক্ত এখনও পলাতক। ঘটনাটি ঘটে বুধবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে আড়াইটের মধ্যে। এদিন রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ আন্দুল রোডের আলমপুরের কাছে নিজের নার্সিংহোম থেকে গাড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন চিকিৎসক ডাঃ গৌতম দাস। গাড়িতে ড্রাইভারের পিছনের আসনে বসেছিলেন তিনি। সাঁকরাইল স্টেশনের কাছেই তাঁর বাড়ির কিছুটা আগে লেভেল ক্রসিংয়ের কাছে হঠাৎই এক যুবক বাইক নিয়ে তাঁর গাড়ির পথ আটকায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আরও তিন যুবক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চিকিৎসকের গাড়িতে উঠে পড়ে। গাড়ির চালককে নির্দেশ দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে দেয়।
চিকিৎসকের কাছে টাকা চায় দুষ্কৃতীরা। চিকিৎসকের কাছে থাকা ৫২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় তারা। তারপর চিকিৎসকের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ফোনে দুষ্কৃতীরা চিকিৎসকের মুক্তিপণ চেয়ে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা দাবি করে। চিকিৎসকের পরিবারের তরফে অপহরণের কথা জানানো হয় হাওড়ার পুলিশ কমিশনার সি সুধাকরকে। তাঁর নির্দেশমতো দুষ্কৃতীদের কল লিস্ট দেখে মোবাইল ট্র্যাক করতে শুরু করে পুলিশ। এরপর মোবাইল ট্র্যাক করে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের লোকেশন পায় পুলিশ। সেইমতোই পুলিশ গাড়িটিকে ধাওয়া করতে শুরু করে। অবশেষে রাত আড়াইটে নাগাদ ধূলাগোড় ফ্লাইওভারের কাছে মোবাইল লোকেশন দেখে চিকিৎসকের গাড়ির পিছনে ধাওয়া করে সেখানে পৌঁছে যায় পুলিশ। পুলিশকে দেখেই চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করে চার দুষ্কৃতী। ২ জন পালালেও বাকি ২ জনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে পুলিশ। বাকি ২ দুষ্কৃতির খোঁজে তল্লাশি চলছে। হাওড়া সিটি পুলিশের এসিপি সাউথ -১ কামরুজ্জামান মোল্লা জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের স্বার্থেই ধৃতদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।