নদিয়া, ১৯ অক্টোবর:- লক্ষ্মী পুজোর প্রাক মুহূর্তে এবছর ফলের বাজার সরগরম। যারা সারাবছর সবজি, আলু ও ডিমের ব্যাবসায়ী তারাও বসেছেন ফলের পসরা সাজিয়ে। এবছর ফলের বাজার অন্যান্য বছরের তুলনায় ততটা ভালো নয়। বেশির ভাগ ফলেরই দাম বেড়েছে। তাছারা অনেক ব্যবসায়ী দাবি করলেন কভিড ১৯ এর প্রেক্ষাপটে সাধারণ মানুষের আর্থিক সমস্যায় ভুগছেন, কাজেই অনেকে কোনো রকমে পুজো করার পরিকল্পনা করেছেন। অন্যদিকে বেশ কিছু ক্রেতাদের মতে এবছর ফলের দাম যথেষ্ট বেশি আর সেই কারণে খুবই কষ্টের মধ্যে দিয়ে তারা সংসার চালিয়ে বছরে একটা দিন কোনো রকমে লক্ষ্মী পুজো সারছেন। কারণ তাদের প্রত্যেকের সংসার চালাতে নাভিশ্বাস উঠছে। তবে ফল বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেলো বাজারের সবচেয়ে দামি ফল আতা, নারকেল, আনারস এবং সবচেয়ে কম দামি ফল হলো শসা। ফল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন নিম্নচাপের জন্য এমনিতেই বাজার মন্দা তার উপর ফলের দাম ঊর্ধ্বমুখী
যেজন্য ক্রেতারা তাদের ফল কেনার পরিমাণ অনেকটাই কমিয়েছেন যার জন্য রুজি-রুটির টান পড়েছে ফল ব্যবসায়ীদের, বর্তমান ফল বাজারে এক কিলো আপেলের দাম ১০০ টাকা, এক ডজন কলার দাম প্রায় ত্রিশ টাকা, শসা ও পেয়ারার দাম ৪০ টাকা প্রতি কিলো দর এবং কমলা লেবুর দামও আকাশ ছোঁয়া। ফলের মূল্য বৃদ্ধির জন্য ফল ব্যবসায়ীরা সরকারি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। ফল ব্যবসায়ীরা আরও জানিয়েছেন অন্যান্য বছর লক্ষ্মী পুজোর আগে তাদের যা বাজার হত এবছর তুলনামূলক কিছুই নেই কিভাবে সংসার চালাবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না তারা। অন্যদিকে ক্রেতাদের মাথায় হাত দীর্ঘদিন লকডাউনে কর্মহীন থাকার পর স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার মুখে নিত্যপ্রয়োজনীয় আনাজ হোক বা ফলমূল বাজারে আগুন!