এই মুহূর্তে জেলা

সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের হাতে মাংস তুলে দিলেন সুবীর ঘোষ।

হুগলি, ১৪ অক্টোবর:- পুজোর আনন্দ ভাগ করে নিতে শেওড়াফুলি বৈদ্যবাটি ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মীরা পুজোর চার দিন সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের প্রতিদিন নানা বিধ খাবার তাদের হাতে পৌঁছে দিলেন। শেওড়াফুলি বৈদ্যবাটি পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য সুবীর ঘোষ জানালেন বাঙালির কাছে দুর্গোৎসব হচ্ছে প্রাণের উৎসব। দলমত নির্বিশেষে সবাই আমরা মাতৃ আরাধনায় অংশ নিন। এই চারটে দিন প্রত্যেক পরিবারের বাড়িতে নানা ধরনের ভাল-মন্দ খাবার আয়োজন হয়, অথচ আমরা যদি একটু চিন্তা করি এই সমাজের বহু পরিবার আছেন যাদের কাছে নুন ভাত জোগাড় করা একটা প্রাণান্তকর বিষয়ে, সেই কথা মাথায় রেখেই আমাদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা এই সমস্ত মানুষদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী এই তিন দিন আমরা তাদের চিকেন ভাত লুচি পরোটা রাধাবল্লভী সহ মিষ্টি পায়েস পেট ভরে খাইয়েছি।

আজকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আজকের দিনে প্রতিটি বাঙালির বাড়িতে মাংস খাওয়ার একটা রেওয়াজ আছে সেই কথা মাথায় রেখেই এদিনএই ওয়ার্ডের প্রায় ৫০০ জন গরিব মানুষদের হাতে এক কেজি করে মাংস তুলে দেওয়া হলো। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটা শিক্ষাই দিয়েছেন প্রথমে আমরা মানুষ আর এই মানুষ হওয়ার জন্য প্রত্যেকটি মানুষের পাশে মানুষ যদি না দাঁড়াতে পারে তাহলে কিসের এই মানব জনম। তাঁর সেই কথা আমরা অক্ষর অক্ষর পালন করি, এবং যতটা পারি বিভিন্ন উৎসব-পার্বণে এইসব মানুষদের মুখে যাতে একটু হাসি ফোটে সেই চেষ্টাই করি।এদিকে সুবীর ঘোষের এই প্রশংসনীয় উদ্যোগকে এলাকাবাসী সাধুবাদ জানিয়ে বলেছেন সুবীর দা নিজেকে কেবল রাজনীতির আবদ্ধএ আটকে না রেখে বছর ভোর গরীব মানুষ দের পাশে থাকে যার জন্য তিনি পিছিয়ে পড়া গরিব মানুষের কাছে এত জনপ্রিয়।