এই মুহূর্তে জেলা

বন্যায় নিয়ে গেছে সব কিছুই , রেখে গেছে শুধু শূন্যতা , আর চারিদিকে ধ্বংসের চিহ্ন।

মহেশ্বর চক্রবর্তী, ৭ অক্টোবর:- সর্বগ্রাসী বন্যায় নিয়ে গেছে সব কিছুই। রেখে গেছে শুধু অনন্ত শূন্যতা আর শূন্যতা। চারিদিকে ধ্বংসের চিহ্ন। একটা গ্রামেই ৭০ থেকে ৮০টি মাটির বাড়ি ও বেশ কয়েকটি পাকার বাড়ি বন্যার জলে ভেঙে ধুলিসাৎ করে দিয়েছে। সম্পুর্ন ও আংশিক মিলিয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি করে দেওয়ার জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েতে প্রায় দেড় হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছে। এই রখম নজীর বিহীন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে হুগলির জেলার গোঘাটের বালি অঞ্চলে। দিঘড়া গ্রামেই ৭০ থেকে ৮০ টি মাটির বাড়ি বন্যার জলে ধ্বংস হয়ে গেছে। দ্বারকেশ্বর নদীর সর্বগ্রাসী রুপ এই গ্রামে গেলেই দেখা যাবে।সারি সারি দিয়ে মাটির বাড়িগুলি পড়ে গেছে। চারিদিকে অসহায় ভাবে তাকিয়ে বাড়ির মালিক থেকে শুরু করে পথ চলতি মানুষ। চোখে মুখে চিন্তার এক রাশ ছাপ এই গ্রামের অসহায় মানুষগুলোর। কি করবে ভেবে পাচ্ছে না। টানা নিম্নচাপের জেড়ে জুলাই মাসেও বন্যা হয়েছিলো তখন ক্ষয়ক্ষতির পরিমান অনেক কম ছিলো।

এবার চাষের ফসলের সাথে সাথে বাসস্থানও ধ্বংস করে দিলো দ্বারকেশ্বর নদীর জল। উল্লেখ্য বিভিন্ন জলাধার থেকে হঠাৎ জল ছাড়ায় এবার দিশাহারা অবস্থা হয়ে ওঠে ওই ওই এলাকার মানুষের বাড়ির আসবাবপত্রও সরিয়ে নিয়ে যেতে পারেনি। তাই সব হারিয়ে তার আজ রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছে। কিভাবে এই ক্ষতি পূরন হবে। এই বিষয়ে ওই এলাকার বন্যা কবলিত মানুষের দাবী, প্রায় প্রতি বছরই তারা বহু বন্যা দেখেছে। এই রখম ভয়ংকর বন্যা তারা কখনও দেখেনি। প্রায় ৬০ থেকে ৭০টি মাটির বাড়ি অধিকাংশই বন্যার তোড়ে ভেঙে পড়েছে। যেগুলি দাঁড়িয়ে আছে সেগুলি ভগ্নদশায় পরিনত হয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে মাথার উপরে। তাই এখন ওই এলাকায় কান পাতলে শোনা যায় শুধু বুক ফাটা হাহাকার আর সব হারানোর যন্ত্রণা। ঝুঁকে পরা মানুষ গুলোর দীর্ঘশ্বাস। এই বিষয়ে দিঘড়ার এক গৃহবধূ সোমা খাঁড়াবলেন,

মাথার উপরে যেটুকু ছাদ ছিল তা বন্যায় ভেঙে গেছে। খাদ্যশস্য এবং গৃহস্থালি জিনিসপত্রও ভেসে গেছে। কোথায় থাকবে, কী ভাবেই বা চলবে সংসার আর কীভাবেই বা চলবে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা? সেই চিন্তায় অস্থির আমার। আমাদের পাড়াতেই ১৬টির মতো বাড়ি ভেঙেছে। অপরদিকে স্থানীয় মানুষ শ্যামসুন্দর রায়, স্বপন মালিকরা জানান, সরকার যাতে অনুদান দেয় সেই বিষয়ে আবেদন জানাছি। অনুদান দিলে এই সব গরীব মানুষগুলো বেঁচে যাবে। সব চাপা পড়ে গেছে।কিছু বের করা যায়নি।অন্যদিকে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান মৃত্যুঞ্জয় পাল বলেন, আমার বালি অঞ্চলে প্রভুত ক্ষতি হয়েছে। প্রত্যেকটি মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত।দিঘড়া গ্রামে ক্ষয়ক্ষতির সীমা নেই। আমরা যথাসাধ্য ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছি। এইসব মানুষের পাশে আছি। সব মিলিয়ে একই গ্রামে এতগুলো মাটির বাড়ি বন্যার জলে পরে যাওয়ায় গ্রামের গরিব মানুষগুলোর দিশাহারা অবস্থা। এখন দেখার এই দরিদ্র মানুষের জন্য সরকার বা প্রশাসন কি পদক্ষেপ নেয়।