এই মুহূর্তে

বৈষ্ণবমতে পুজো হয় হাওড়ার মল্লিকবাড়িতে। সন্ধিপুজোর সন্ধিক্ষণে হয় মন্ডা বলি।

হাওড়া, ৫ অক্টোবর:- মধ্য হাওড়া নিবাসী ব্যবসায়ী ধরণীধর মল্লিক প্রতিষ্ঠিত মল্লিক বাড়ির দূর্গাপূজার এবার ১২০তম বর্ষ। ১৯০১ সালে শুরু হয়েছিল পুজো। এখনও সাড়ম্বরে নিষ্ঠার সঙ্গে গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকার নিয়ম মেনে সপরিবারে দূর্গোৎসব পালন করা হয়। দিন বদলালেও পুরনো ঐতিহ্য বজায় রেখেই আজও এদের পুজো হচ্ছে। রাধাষ্টমীর দিন একটি কচি বাঁশ পুজো করে এ বাড়ির দূর্গোৎসবের সুচনা হয়। এই বাঁশ দিয়েই বাড়িতে প্রতিমা গড়ার কাজ শুরু হয়। একচালা কাঠামোতে গড়া হয় প্রতিমা। এ বাড়ির প্রতিমা বাড়ির মেয়ের রূপে আসেন।

মাথা থেকে পা পর্যন্ত রূপোর গহনাতে মাকে সাজিনো হয়। ধরণীধর মল্লিক যখন পুজো শুরু করেন সেসময় দেবীপক্ষের প্রতিপদ থেকে দশমী পর্যন্ত পুজো হতো। বর্তমানে আর তা হয় না। মহাষষ্ঠীর দিন বেল-বরণ ও মায়ের বোধন হয়। মহাসপ্তমীর দিন নানাবিধ সুগন্ধি ও ১০৮ ঘটি ব্যবহার করে নবপত্রিকার মহাস্নান পর্ব বাড়িতেই সম্পন্ন হয়। এরপর নবপত্রিকা গৃহপ্রবেশ করে পঞ্জিকার নির্দিষ্ট সময় মেনে। নবপত্রিকাকে সুন্দর করে সাজিয়ে গণেশের পাশে স্থাপন করে ঘট প্রতিষ্ঠা করে পুজো শুরু হয়। মহাষ্টমীর দিন সব আচার মেনে পুজো হয়। মল্লিক বাড়িতে বৈষ্ণব মতে পুজো হয়।

তাই সন্ধিপুজোর সময় সন্ধিক্ষণে মন্ডা বলি হয়। এরপর ধূনো-পোড়ানোর রীতি আছে। বাড়ির বৌ দুহাতে ও মাথায় একটি করে মাটির সরা নিয়ে দেবীর সামনে বসেন। তাতে কর্পূর দিয়ে ধূনো জ্বালানো হয়। নবমীতে কুমারী পূজা উদযাপন হয়। সবশেষে হয় হোম। দশমীর পুজো সমাপন হয় গঙ্গায় পুজো করে। সন্ধ্যা বেলায় মাকে বরণ করে বিদায় জানান হয়। রামকৃষ্ণপুর গঙ্গার ঘাটেই প্রতিমা বিসর্জন হয়।